স্পোটর্সকে জীবনের প্রতিচ্ছ্বি বলা হয়। এখানে ইতিহাস নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়, সময় নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। কয়েক মুহূর্ত, কিছু সিদ্ধান্তই কাউকে সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে দেয়, তো কেউ অন্ধকারের অতল গভীরে তলিয়ে যায়। ইউরোর ফাইনালের রাতে প্রায় সবক'টি অনুভূতির সাক্ষী থেকেছেন ইংল্যান্ড ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট।
ফের একবার তীরে এসেও তরী ডুবল ইংল্যান্ডের। অতীতে বারংবার পেনাল্টি ‘কাঁটা’য় ব্যাহত হয়েছে একাধিক মেগা টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের যাত্রা। ২০১৮ বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সেই বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল সাউথগেটের দল। ইংরেজ জনগণ ভেবে নিয়েছিল দীর্ঘদিনের অসুখ হয়তো সারল বলে। তবে ৫৫ বছর নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাতে আবারও সেই চেনা অসুখের পুনরাবৃত্তি।
পেনাল্টিতে প্রথম দুই শটের মধ্যে একটি জর্ডান পিকফোর্ড প্রতিহত করেন ও দুই হ্যারি জালে বল জড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। আশায় বুক বাঁধছিল গোটা ইংল্যান্ড। তবে পরপর রাশফোর্ড, স্যাঞ্চো, সাকা গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও ছন্দপতন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের এমন এক রাতে ইউরোর সেমিফাইনালে জার্মানদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করে ফাইনালের পৌঁছানোর সুযোগ হারিয়েছিলেন সাউথগেট।
এবারের টুর্নামেন্ট জার্মানিকে হারিয়ে সেই জ্বালা কিছুটা মেটাতে সক্ষম হলেও, শেষরক্ষা হল না। তবে টুর্নামেন্টের এমন এক মুহূর্তে সাকার মতো এক নবাগত ও স্যাঞ্চোর মতো এক তরুণকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।