ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড-ইতালি ফাইনাল ম্যাচের আগে টিকিট ছাড়া সমর্থকদের জোর করে মাঠে ঢোকার প্রচেষ্টা সকলকে তাজ্জব করে দেয়। ঠেলাঠেলিতে একাধিক ব্যক্তি চোটগ্রস্থ হন এবং লজ্জায় ডোবে ইংল্যান্ড। তবে পুরো ঘটনাটিই ঘটেছিল সুপরিকল্পিতভাবে।
ওই ধস্তাধস্তিতে ওয়েম্বলিতে প্রবেশকারী এক ব্যক্তি পাবলোর (নাম পরিবর্তিত) বর্ণনায় পুরো ঘটনাটির একটি পরিস্কার ছবি পাওয়া যায়। প্রচুর চেষ্টা করেও বৈধ টিকিট জোগাড় করতে না পারার পর, পাবলো নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ২০০ জনের একটি গ্রুপ বানান। পাশাপাশি ৫০০ জনের ‘Wembley jib’ নামক একটি গ্রুপেরও সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া প্রায় ৮০০ জনের দুটি গ্রুপ যারা তার মতোই একই কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন, সেই তাদের বিষয়েও অবগত ছিলেন তিনি।
ওয়েম্বলিতে জোর করে অনুপ্রবেশ করার পিছনে আজব যুক্তি দেন মিডল্যান্ডের এই বাসিন্দা। Guardian-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ‘আমি আমার বাবার কথা ভাবছিলাম। বাবার বয়স ৫২ এবং উনি কোনদিনও ইংল্যান্ডকে কোন ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলতে দেখেননি। আমার জীবনদশায় হয়তো আর কোনদিন এমন সুযোগ আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মাঠে ৩০ হাজার খালি সিট ছিল এবং আমরা অন্য কারুর জায়গা দখল করে তাতে বসিনি।’
পাবলো মিডল্যান্ডস থেকে দুটি গাড়ি করে তাঁর নয় জন বন্ধুদের সঙ্গে ওয়েম্বলিতে পৌঁছায়। তাঁর সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার জন্য ২৫০ ইউরোও ছিল। তবে তার প্রয়োজন পরেনি। একজন বাদে পাবলো এবং তার সকল বন্ধুরাই ম্যাচ দেখতে মাঠে ঢুকতে সক্ষম হয়। Guardian-কে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নির্মিত block K-কে প্রবেশ পথ তিনি এবং ৩০০ জন সমর্থক কীভাবে মাঠে প্রবেশ করেন তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।