ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই বড় শক্তি স্পেন ও ইতালি যখন একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে তখন একাধিক ইতিহাস রচিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ইউরোর ইতিহাসে এই নিয়ে টানা চতুর্থবার নক-আউটে পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দু'দল। প্রথম দু'বার (২০০৮ ও ২০১২) সালে স্পেন জিতলেই পেনাল্টিতে লা রোহাকে পরাস্ত করে স্কোর সমান সমান করল ইতালি।
পেনাল্টিতে ইতালির জয় খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ২০০৬ সালে পেনাল্টিতেই ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চত করেছিলেন জিয়ানলুইজি বুফোঁরা। তবে ইউরোর ক্ষেত্রে এই ম্যাচের আগে একদিকে যেমন পেনাল্টিতে ইতালির রেকর্ড তাঁদের স্বভাববিরুদ্ধ ছিল, তেমনই স্পেনের রেকর্ড ছিল ততটাই ঈর্ষনীয়।
স্প্যানিশ দল ইউরোর ইতিহাসে পাঁচবারের মধ্যে চারবারই শুট আউট থেকে জয়লাভ করেছে। অপরদিকে, আজুরিদের পাঁচের মধ্যে তিনবারই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। তবে এই ইউরোর সেমিফাইনালে পুরনো ইতিহাস ঝেড়ে ফেলে নতুন ইতিহাস জয়ের লক্ষ্যে নেমেছে রবার্তো মানচিনির ছেলেরা। এক্ষেত্রে সেই উদাহরণই চোখে পড়ল।
পাশপাশি বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ১২ নম্বর বার সেমিফাইনালে উঠে আগেই অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছিল আজুরিরা। এবার দুই বড় টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ১০ নম্বর বার ফাইনালে নিজেদের টিকিট পাকা করার কৃতিত্ব অর্জন করল বুফোঁ, পির্লোর দেশ। ইউরোপিয়ান দেশগুলির মধ্যে একমাত্র জার্মানি (১৪) মেগা কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইতালির থেকে বেশিবার খেলেছে।
একদিকে যেমন ইতালিয়ানরা গর্বের নজির সৃষ্টি করলেন, তেমনই অপরদিকে একাধিক হতাশাজনক রেকর্ডের ভাগীদার হতে হল লুইস এনরিকের দলকে। এই প্রথম মেগা টুর্নামেন্টের শেষ চার থেকে ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হল কোন স্প্যানিশ দল। এর আগে ইউরো এবং বিশ্বকাপ মিলিয়ে পাঁচবারই সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে নিজেদের স্থান পাকা করতে সক্ষম হয়েছিল লা রোহারা।