সেমিফাইনালে পেনাল্টিতে স্পেনকে পরাস্ত করে ইউরোর ফাইনালে নিজেদের টিকিট পাকা করেছে ইতালি। দুরন্ত লড়াইয়ে ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই স্প্যানিশ দল নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। পিছিয়ে পরেও ম্যাচে ফিরে আসে লা রোহারা। স্পেন দলের এই লড়াইকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ইতালিয়ান ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি।
ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘এটা একটা দুর্ধর্ষ এবং কঠিন ম্যাচ ছিল। স্পেনকে কুর্নিশ, ওরা খুবই ভাল খেলেছে। সত্যিটা মেনে নিতে কোন লজ্জা নেই। তবে অন্য কোন দল আমাদের ইতালিয়ানদের মতো লড়াকু, নাছোড় মনোভাব দেখাতে তেমন সিদ্ধহস্ত নয়। আমরা গোটা ম্যাচ জুড়েই বারংবার মুশকিলে পড়ি। তবে দলের সকলেই মুশকিল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ফাইনালে জায়গা পাকা করতে বদ্ধপরিকর ছিল।’
প্রথম শটেই মানুয়েল লোকাত্তেলির শট দুরন্তভাবে ডান দিকে ঝাপিয়ে বাঁচিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। তবে স্পেনের হয়ে দানি ওলমো ও আলভারো মোরাতা গোল মিস করায় বাকি চারটি শটের প্রতিটায় গোল করে জয় সুনিশ্চিত করে আজুজিরা। সতীর্থ লোকাত্তেলির পাশে দাঁড়িয়ে সাফ নিজের মতামত স্পষ্ট করে দেন ইতালির হয়ে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির সৃষ্টিকারী বোনুচ্চি।

‘যারা পেনাল্টি মারে না, একমাত্র তাঁরাই কোনদিন পেনাল্টি মিস করে না। আমি গোল করার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। সত্যি বলতে পেনাল্টি নেওয়ার জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতে আমাদের প্রথমে একটু সমস্যাই হয়। কারণ অনেকেই পেনাল্টি নিতে আগ্রহী ছিল। সবশেষে, আমি বলব ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল যে মানুয়েল (লোকাত্তেলি) প্রথম পেনাল্টি মিস করার পরও আমরা স্পেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হই।’ দাবি অভিজ্ঞ ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।