বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > EURO 2020: মাঠে দু'টি বল. স্মাইকেলের চোখে লাইট, হ্যারি কেনদের জয়ে বিতর্কের ঝড়

EURO 2020: মাঠে দু'টি বল. স্মাইকেলের চোখে লাইট, হ্যারি কেনদের জয়ে বিতর্কের ঝড়

স্টার্লিংয়ের পেনাল্টি জয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে মাঠে একই সঙ্গে দু'টি বল। ছবি- টুইটার।

১০৪ মিনিটে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেন হ্যারি কেন।

দীর্ঘ ৫৫ বছরের অপেক্ষার পর কোন বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছে হ্যারি কেনের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। ডেনমার্ককে ২-১ গোলে এক্সট্রা টাইমে হারিয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে ইংল্যান্ড। তবে এই জয় নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। 

১০৪ মিনিটে কেনের শট দুর্দান্তভাবে ক্যাসপার স্মাইকেল বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা থেকে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে পেনাল্টির সময় ড্যানিশ গোলরক্ষকের একাগ্রতা ভঙ্গ করতে তাঁর চোখে আলো মারা হচ্ছে।

পেনাল্টি বাঁচানোর সময় স্মাইকেলের মুখে আলো। ছবি- টুইটার।
পেনাল্টি বাঁচানোর সময় স্মাইকেলের মুখে আলো। ছবি- টুইটার।

এখানেই শেষ নয়, বিতর্ক গোটা পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তটিকে ঘিরেই। জোয়াকিম মেইলার আলতো ছোঁয়ায় রাহিম স্টার্লিংয়ের পড়ে গিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত তা পরের বিষয়। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী খেলা ফাউল হওয়ার আগেই থামিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ একই সময়ে মাঠে দু'টি বলের উপস্থিতি। নিয়ম অনুযায়ী মাঠে ম্যাচ চলাকালীন অপর কোন বল যদি মাঠে চলে এসে খেলায় সরাসরি প্রভাব ফেলে, তাহলে তখনই রেফারিকে খেলা থামিয়ে দেওয়া উচত। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। 

এরপরেই বিতর্কে তোলপাড় নেটপাড়া। কেউ কেউ মনে করছেন ডেনমার্কের সঙ্গে ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে। তো কেউ আবার যোগ্য দল হিসাবে ইংল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছেছে বলে দাবি করলেও, এমনভাবে জয় মেনে নিতে পারছেন না।  

তবে স্টার্লিং-এর গলায় স্বাভাবিকভাবেই উল্টো সুর। তিনি কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তের সমর্থনেই গলা চড়িয়েছেন। ‘আমি বক্সে পৌঁছানোর পরই ও নিজের পা বাড়িয়ে দেয়। আমি পরেযাই এবং সেই ছোঁয়াটা অনুভব করি। রেফারির দল সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’ দাবি স্টার্লিং-এর। 

বন্ধ করুন