ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর অভিযান শুরু করল স্পেন। শনিবার বার্লিনে গ্রুপ ‘বি’-র লড়াইয়ে প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটের স্পেলেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যান স্প্যানিশরা। গোল করেন আলভারো মোরাতা, ফাবিয়ান রুইজ এবং দানি কার্ভাহাল। শেষপর্যন্ত সেই ব্যবধানেই জিতে ইউরোর ‘গ্রুপ অফ ডেথ’-র শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। তবে আপাতত গ্রুপ ‘বি’-র একটি ম্যাচই খেলা হয়েছে। একটু পরেই আলবানিয়ার বিরুদ্ধে নামবে ইতালি। সেই ম্যাচে ইতালি জিতলেও স্পেন অনেক স্বস্তিতে থাকবে। কারণ তারা ক্রোয়েশিয়ার শক্ত গাঁট পেরিয়ে গিয়েছে।
স্পেনের তিনটি গোল কীভাবে হল?
২৮ মিনিটে প্রথম গোল হওয়া পর্যন্ত শনিবার বার্লিনে তেমন কোনও ‘অ্যাকশন’ দেখা যাচ্ছিল না। সমানে-সমানে লড়াই হচ্ছিল। কিন্তু আলভারো মোরাতোর গোলের পরই খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে স্পেন। মোতারা গোল করলেও অবশ্য সেটার কৃতিত্ব অনেকটা প্রাপ্য রদ্রির। যিনি দুর্দান্ত টাচে বলটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তারপর ক্রোয়েশিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে মোরাতাকে একেবারে 'পিন পয়েন্ট' বল বাড়ান। সেখান থেকে নিজের স্নায়ু ধরে রেখে গোল করে স্পেনকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ক্যাপ্টেন মোরাতা।
চার মিনিট পরেই স্পেনের লিডটা 'ডবল' করে ফেলেন রুইজ। বক্সের মধ্যে তিনি বল পান। দু'জন ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন ফাবিয়ান রুইজ। তারপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় (৪৫ মিনিট+২) স্পেনের লিড বাড়িয়ে ৩-০ করে দেন দানি কার্ভাহাল। ইয়ামালের ক্রস থেকে দারুণ টাচে গোল করেন যান রিয়াল মাদ্রিদের তারকা। যে ইয়ামাল বার্লিনে নেমে ইতিহাস গড়ে ফেলেন। কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোয় নামেন। বার্সেলোনা তারকার বয়স হল ১৬ বছর ৩৩৮ দিন। ইউরোর ফাইনালের আগেরদিন তাঁর বয়স ১৭ হবে।
তবে সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়াও
ম্যাচের ফলাফল একতরফা মনে হলেও ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেগুলি থেকে গোল পেলে বেশ চাপেই পড়ে যেত স্পেন। প্রথমার্ধে স্পেনের দ্বিতীয় গোলের দু'মিনিট পরেই প্রায় গোল করে ফেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। ব্রোজোভিচ বক্সের বাইরে থেকে শট নেন। যা ঠেলে দেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন। ফিরতি বলে শট ক্রোয়েশিয়া শট নিলেও গোল হয়নি। তারপর ৪১ মিনিটে আরও একটি সুবর্ণ এসেছিল লুকা মদ্রিচদের কাছে। কিন্তু সেটাও হাতছাড়াও হয়ে যায়।
সেই জোড়া সুযোগ হাতছাড়া করার ফলে ০-৩ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া। তবে ক্রোয়েশিয়ার সেরা সুযোগটা আসে ৫৫ মিনিটে। কুকুরেল্লা গোললাইন সেভ করেন। তারপর সিমোন দারুণভাবে বলটা বাঁচিয়ে দেন। সেইসময় ক্রোয়েশিয়া একটি গোল করে ফেললে ম্যাচের ভাগ্য পালটে যেতে পারত।
শেষপর্যন্ত ৮০ মিনিটে স্পেনের জালে বল জড়ায় ক্রোয়েশিয়া। বক্সের মধ্যে একটা মামুলি বলে মারাত্মক ভুল করেন স্পেনের গোলকিপার। বড্ড গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ খুইয়ে ফেলেন। তবে ক্রোয়েশিয়া গোল করার আগেই ফাউল করেন রদ্রি। পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। পেটকোভিচের শট প্রাথমিকভাবে রুখে দেন সিমোন। ফিরতি বলে গোল করে যান পেটকোভিচ। কিন্তু পেনাল্টি নেওয়ার আগেই বক্সের মধ্যে পেরিসিচ ঢুকে আসায় গোল বাতিল হয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।