গত ইউরো কাপে ডেনমার্কের প্রথম ম্যাচেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকলের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন প্রাণ সংশয় নিয়ে। সেবার আর ইউরো খেলা হয়নি। কিন্তু ২০২৪ সালে মেগা টুর্নামেন্টে ফের দেশের জার্সিতে নেমেছিলেন এরিকসন। শুরুটা করেছিলেন গোলের উচ্ছ্বাস নিয়ে। এই টুর্নামেন্টে রবিবার তাঁর স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন হতেই পারত। তাঁর দলও কাঙ্খিত জয় পেতে পারত। কিন্তু সেটা হতে দিল না স্লোভেনিয়া। শেষ দিকে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্রয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা।
রবিবার ডেনমার্কের প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত গোল করেন তারকা এই মিডফিল্ডার। তবে এরিকসন দলকে শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারলেন না। স্লোভেনিয়ার হয়ে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এরিক জানজার গোল এরিকসনের স্বপ্নকে ফালাফালা করে দেয়। যার নিটফল স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে ফেভারিট হয়েও ১-১ শেষ করে মাঠ ছাড়তে হল ডেনমার্ককে।
স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পুরো ৩ পয়েন্ট না পাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গেল ডেনমার্ক। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন এরিকসনরা। এই ম্যাচই ডেনমার্কের কাছে সবচেয়ে কঠিন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেলে নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করার পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে ড্যানিশ ব্রিগেড। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা মোটেই সহজ বিষয় হবে না। এদিকে স্লোভেনিয়া আবার তাদের পরের ম্যাচে সার্বিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। ডেনমার্কের জন্য এই ম্যাচের ফল গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: লালের স্ত্রোতে ভাসল কলোন, হাঙ্গেরিকে ৩-১ উড়িয়ে ইউরোর যাত্রা শুরু সুইৎজারল্যান্ডের
এদিন খেলার শুরু থেকেই ডেনমার্ক কিন্তু আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিল। খাতায়-কলমে স্লোভেনিয়ার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল তারা। সেটা খেলাতেও বেশ টের পাওয়া গিয়েছে। একের পর এক আক্রমণ করে চলেছিল ড্যানিশরা। এই ম্যাচে এরিকসনের কোনও নির্দিষ্ট পজিশন ছিল না। গোটা মাঠ জুড়ে খেলছিলেন তিনি। কখনও মাঝমাঠে নেমে আক্রমণে তৈরি করছিলেন। কখনও প্রান্ত ধরে উঠছিলেন। আবার কখনও ফরোয়ার্ডের কাজ করছিলেন। যে কারণে এরিকসনকে নিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল স্লোভেনিয়া।
আরও পড়ুন: কাতারের বিতর্কিত গোল, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে ফিফার দ্বারস্থ AIFF
আর প্রতিপক্ষের সেই চাপকেই কাজে লাগিয়ে ১৭ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন এরিকসন। ইউন্ডের পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন এরিকসন। এর পরে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য আরও মরিয়া হয়ে পড়ে ডেনমার্ক। স্লোভেনিয়ার গোলে ওবলাক না থাকলে সমস্যায় পড়তে হত তাদের।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য স্লোভেনিয়া কিছুটা প্রতি আক্রমণে উঠতে শুরু করে। কয়েকটি ভালো সুযোগও তারা তৈরি করে। চাপ বাড়তে থাকে ডেনমার্কের উপর। গোলের মুখ খুলতে পারছিল না স্লোভেনিয়া। শেষমেশ ম্যাচের ৭৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এরিক জানজার জোরালো শট ডেনমার্কের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ১-১ সমতা ফেরা স্লোভেনিয়া। এর পর অবশ্য দু'দলই গোলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেউই আর মুখ খুলতে পারেনি। ড্র হয়ে যা ম্যাচ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।