ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচে ঘটে যায় এক বিতর্কিত ঘটনা। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা জুলিয়ান আলভারেজের একটি পেনাল্টি গোলকে 'ডাবল' পেনাল্টি হিসেবে ঘোষণা করা হয়, এবং সেই গোলটি বাতিল করে দেওয়া হয়।
রিয়ালকে দ্বিতীয় লেগে হারালেও টাইব্রেকারে ছিটকে গেল ATM
ঘরের মাঠে স্প্যানিশ লিগের প্রতিপক্ষকে ১-০ গোলে হারিয়ে পেনাল্টি পর্যন্ত নিয়ে যায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। মিডফিল্ডার কনর গালাগার প্রথম মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর রিয়াল মাদ্রিদও সুযোগ পেয়েছিল সমতা ফেরানোর। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর নির্ধারিত সময় এবং সংযুক্তি সময়ের শেষেও যখন ফল অ্যতলেতিকোর পক্ষে ১-০ থেকে যায়, তখন অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ফলাফল দাঁড়ায় ২০২। এরপরই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ।
আলভারেজের গোল বাতিলে বিতর্ক
তবে পেনাল্টি শ্যুটআউটের সময়ই ঘটে যায় এক বিতর্কিত ঘটনা। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের দ্বিতীয় শটটি মারতে যান আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। শট নেওয়ার সময় তাঁর পা পিছলে গেলেও আলভারেজ গোল করেন। তবে রেফারি ভার প্রযুক্তি খতিয়ে দেখার পর সেই পেনাল্টি গোল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন, আর তাতেই রিয়াল এগিয়ে যায়।
পোলিশ রেফারি সিদ্ধান্ত নেন ভিএআরের
পোলিশ রেফারি সিজিমন মার্কিনিয়াক ভিএআর প্রযুক্তিতে গোলটিকে আরেকবার দেখার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ আলভারেজ শটটি নেওয়ার আগে যখন স্লিপ খেলেছিলেন, তখন তাঁর বাঁ পায়ের সঙ্গে বলের স্পর্শ হয়। এরপর ভিএআরের ক্ষেত্রেও ধরা পড়ে সেই চিত্র, আর তারপরই ডবল কিক হিসেবে পেনাল্টি-টিকে ধার্য করে সেই গোল বাতিল করে দেওয়া হয়। ম্যাচ শেষে বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল উঠে আসে, যে ভিএআর সিদ্ধান্তটি আসলেই সঠিক ছিল। তবুও, অ্যাটলেটিকো ভক্তরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অখুশি ছিলেন।
আলভারেজের গোলে উয়েফার ব্যাখ্যা
এবার সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক হৈচৈয়ের মধ্যে উয়েফাও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ব্যাখ্যা দিল, যে গোলটি ঠিক কেব বাতিল করা হয়েছে এবং ভার প্রযুক্তির সহায়তায় কীভাবে এটিকে ‘ডাবল কিক’ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘মাঠে ৩০টি ইন-স্টেডিয়াম ক্যামেরা ছিল এবং তারা আলভারেজের কিকের সময় বলের সঙ্গে পায়ের স্পর্শের সময়টি নির্ধারণ করতে সহায়তা করেছে’। যদিও এক্ষেত্রে উয়েফার কথায় পরিষ্কার , কোনও সেন্সর ব্যবহার করে নয়, একান্তই রিপ্লে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘুরিয়ে খোঁচা সিমিওনের
অ্যাতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনে এই সিদ্ধান্তে যদিও খুব একটা খুশি নন, তবু তিনি সরাসরি উয়েফা বা রেফারিং নিয়ে কিছু বলেননি ম্যাচ শেষে। তবে ঘুরিয়ে তিনি খোঁচা মেরেছেন। প্রশ্ন করেন, ‘রেফারি তো বলছে যে জুলিয়ানের পায়ে বল লেগেছে, তবে বল নড়েনি। তাহলে স্রেফ স্পর্শ হওয়ার জন্য কি এটিকে ডাবল কিক বলা যায়? গোল ছিল কি ছিল না, সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে, তবে আমি আমার দলের খেলায় খুশি ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।