ভাগ্য ফেরাতে ইপিএলে ব্যর্থ কোচকেই ঘটা করে দায়িত্ব দিল বায়ার্ন মিউনিখ

কাকাতলীয়ভাবে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দুই অন্যতম শক্তিধর ক্লাব এক দিনে তাদের নয়া কোচের নাম ঘোষণা করল। একদিকে যখন বার্সেলোনার দায়িত্ব নিলেন জার্মানির হ্যান্সি ফ্লিক তখন তাঁর দেশের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ নতুন কোচ হিসেবে ভিনসেন্ট কোম্পানির নাম ঘোষণা করল।

শুভব্রত মুখার্জি:- জার্মানির প্রখ্যাত ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরোয়া সার্কিট তো বটেই ইউরোপীয় ক্লাব সার্কিটেও বেশ দাপটের সঙ্গে খেলেন তারা।তবে এই মরশুমটা খুব একটা ভালো যায়নি তাদের। ঘরোয়া লিগ অর্থাৎ বুন্দেসলিগার শিরোপা এবার তারা জিততে পারেনি। দীর্ঘদিন বাদে এই খেতাব জিতেছে বেয়ার লেভারকিউসেন। আর মরশুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোচ বদল করে ফেলল বায়ার্ন মিউনিখ।দলের নয়া হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল বেলজিয়ামের প্রাক্তন তারকা ফুটবলারকে। বায়ার্নের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ভিনসেন্ট কোম্পানি। তিন বছরের চুক্তিতে জার্মানির প্রখ্যাত ক্লাবের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

কাকাতলীয়ভাবে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দুই অন্যতম শক্তিধর ক্লাব এক দিনে তাদের নয়া কোচের নাম ঘোষণা করল। একদিকে যখন বার্সেলোনার দায়িত্ব নিলেন জার্মানির হ্যান্সি ফ্লিক তখন তাঁর দেশের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ নতুন কোচ হিসেবে ভিনসেন্ট কোম্পানির নাম ঘোষণা করল। জার্মান ক্লাবের‌ তরফে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে কোম্পানিকে আগামী তিন বছরের জন্য বায়ার্নের কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য বেলজিয়াম দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার কোম্পানি। তিনি একটা সময়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মতন ক্লাবেও খেলেছেন। ঘটনাচক্রে এটি কোচ হিসেবে কোম্পানির তৃতীয় চাকরি।

কোম্পানি এর আগে বেলজিয়ামের ক্লাব আন্ডারলেখটের দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের ক্লাব বার্নলির কোচিং স্টাফের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সদ্য যে মরশুম শেষ হল ইউরোপে সেই মরশুমে বার্নলি প্রিমিয়র লিগ থেকে অবনমনের‌ মুখে পড়েছে। তারা চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে গিয়েছে। এরপর বার্নলিকে তাঁদের প্রাপ্য অর্থ দিয়েই কোম্পানিকে বায়ার্নে নিয়ে এসেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ৩৮ বছর বয়সী কোম্পানির সামনে রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেন‌ না গত মরশুমটা একেবারেই ভালো কাটেনি বায়ার্নের। ২০১১ সালের পর এবারই প্রথম বুন্দেসলিগা জিততে ব্যর্থ হয়েছে বায়ার্ন। জার্মান সুপার কাপ, ডিএফবি পোকালও চ্যাম্পিয়নস লিগেও ব্যর্থতা তাদের সঙ্গী হয়েছে। এই ব্যর্থতার আবহেই ফেব্রুয়ারিতে টমাস টুচেল এবং ক্লাব মরশুম শেষে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।

এরপর জাবি আলোন্সো,জুলিয়ান নাগেলসমান এবং রাল্ফ রাঙ্গনিকের সঙ্গে ক্লাব কথা বললেও তারা দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত কোচ হতে কোম্পানিকে রাজি করায় বায়ার্ন। ২০২৮ পর্যন্ত বার্নলির সঙ্গে চুক্তি ছিল কোম্পানির। সেই কারণেই বার্নলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ২৭ ডলার দিতে হয়েছে বায়ার্নকে। উল্লেখ্য চার বছর আগে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন কোম্পানি।আজ ক্লাব ওয়েবসাইটে কোম্পানির নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ সিইও ইয়ান-ক্রিস্টিয়ান ড্রেসেন।