৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্তিনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা জেতার আগে চারটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরেছিলেন। তবু তিনি নিজেকে ধরে রেখেছিলেন। ভেঙে না গিয়ে নিজের সেরা খেলাটা মাঠে বারবার উজাড় করে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই সপ্তমবারের জন্য ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি।
তিনি ট্রফি হাতে তুলে নিয়ে বলেন, ‘আবারও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতে আমি সত্যিই গর্বিত। সপ্তমবারের মতো এটি জিততে পারাটা অবিশ্বাস্য।’ এরপরে তিনি নিজের পরিবারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন ‘ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবার, বন্ধুদের এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে, সবসময় আমাকে সমর্থন করে। তাদেরকে ছাড়া আমি এটি অর্জন করতে পারতাম না।’
কোভিড মহামারীর কারণে গত বছর ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি। সেবার পুরস্কারটি জয়ের বড় দাবিদার ছিলেন ২০২০ সালের ফিফা বর্ষসেরা হওয়া রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে দারুণ মরশুম কাটানো পোলিশ তারকা এ বছর দ্বিতীয় হয়েছেন। একদিন লেওয়ানডোস্কিও পুরস্কারটি জিতবেন বলে মনে করেন মেসি। মেসি বলেন, ‘রবার্ট, ব্যালন ডি’অর তোমার প্রাপ্য। গত বছর সবাই তোমার এই পুরস্কার জয়ের ব্যাপারে একমত ছিল।’মেসি বলেছেন, ‘আমি রবার্টকে বলতে চাই যে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া একটি সম্মানের, এবং সবাই বলবে যে আপনি গত বছর এটি জয়ের যোগ্য।’
২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন। আগের প্রতিবারই এই স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন বার্সেলোনায় থাকাকালীন। এবারে তিনি যখন এই পুরস্কার জিতলেন তখন তিনি পিএসজির ফুটবলার। তবু এদিনের পুরস্কার জিতে বার্সেলোনা ও আর্জেন্তিনাকে তিনি ভুললেন না। মেসি বললেন, ‘আমি জানি না আমার কত বছর বাকি রয়েছে। তবে আমি আরও অনেক আশা করি। আমি বার্সেলোনা এবং আর্জেন্তিনায় আমার (প্রাক্তন) সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।