বুধবার বিক্ষোভের জেরে এ বার কি সুর নরম করতে চলেছেন লাল-হলুদ কর্তারা? ক্লাবের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার পরিষ্কার ভাবে কিছু না বললেও, মনে হল সুর কিছুটা হলেও নরম হয়েছে। তবে এটা এই বিক্ষোভকে ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল কিনা, সেটা নিয়ে অনেক সমর্থকই সংশয়ে রয়েছে।
এর আগে ময়দান বহু বার লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর উত্তেজনার সাক্ষী থেকেছে। তবে এত দিন সেই লড়াইটা ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে। এই প্রথম লাল-হলুদ সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন। একটা গোষ্ঠী ছিল, যাঁরা ক্লাব কর্তাদের সমর্থনে ছিল। অন্য গোষ্ঠী ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর বাইরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্চও করতে হয়। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এই বিক্ষোভের পর নীতু সরকার ক্লাব তাঁবুতে বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই গুণী ব্যক্তি। আশা করি, তাঁরা সমাধানসূত্র নিশ্চয়ই বের করবেন।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন কারও বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও রকম অভিযোগ তাঁরা জানাচ্ছেন না। দেবব্রতবাবু বলেছেন, ‘সকলেই তো ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব?’
এর আগেই কর্মসমিতির বৈঠকের পর লাল-হলুদ কর্তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা কোনও ভাবেই চুক্তিপত্রে সই করবেন না। এর কারণ হিসেবে তাঁরা দাবি করেছেন, সভ্য, সমর্থকদরে স্বার্থক্ষুন্ন হয়, এমন কোনও চুক্তি তাঁরা মানবেন না। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ দিনের বিক্ষোভের সূত্রপাত। নীতু সরকার বিরোধী গোষ্ঠী চাইছে, কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করে দিক। আর উল্টোদিকে কর্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে একদল সমর্থকের দাবি, কোনও ভাবেই ক্লাবকে বেচা যাবে না। এই নিয়েই যত ঝামেলা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।