আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের বিদায়ের পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশেষ করে হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচের আগে ক্লাবের বিরুদ্ধে যে ভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন দিয়াজ, তাতে সকলে নিশ্চিত ছিল, খুব শীঘ্রই লাল-হলুদও কোচ বিদায়ের পথে হাঁটছেন। তবে এখনও পর্যন্ত সে রকম কিছু ঘটেনি। জল্পনা শুরু হয়েছে লাল-হলুদে দিয়াজের ভবিষ্যত নিয়ে।
এমনিতে ঠিক ছিল, হায়দরাবাদ ম্যাচ হারলেই কোচের দায়িত্ব থেকে দিয়াজকে সরিয়ে দেবে লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ম্যাচ ড্র হওয়ায় সব হিসেব উল্টে-পাল্টে গিয়েছে। এমন কী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই বছরের সেরা ফুটবল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। সে ক্ষেত্রে কি আপাতত চাকরিটা থেকে গেল স্প্যানিশ কোচের?
জানা গিয়েছে, দিয়াজ নিজে পদত্যাগ করতে রাজি নয়। কোচকে ক্লাব তাড়ালে, পুরো মরশুমের বেতন দিতে হবে। এই মরশুমে দল চালাতে গিয়ে অতিরিক্ত আর কোনও অর্থ খরচ করতে রাজি নন কর্তারা। তার উপর বড়দিনের আবহে কোচ বাতিলের কাজটাও করতে চাইছেন না কর্তারা।
তবে লাল-হলুদ কর্তারা চাইছেন, দিয়াজের সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে, যাতে নিজেই তিনি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। কারণ কোচের কোচিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে একেবারেই খুশি নয় লাল-হলুদ। আদিল খানের মতো স্টপারকে বসিয়ে রেখে রাজু গায়কোয়াড়কে দিনের পর খেলিয়ে চলেছেন দিয়াজ। যে ভাবে প্রথম একাদশ সাজাচ্ছেন বা টিমকে খেলাচ্ছেন, সেটা একেবারেই না পসন্দ লাল-হলুদ কর্তাদের। যে কারণে গোয়ায় থাকা এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও শিবাজি সমাদ্দার এই নিয়ে কথা বলছেন কোচের সঙ্গে। আলোচনা চলছে, চুক্তি বাতিল হলে দিয়াজের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা কত হবে?
এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের খেলা ৪ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। তার আগে কোচের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে। জানানো হবে, কোচের কোন কোন বিষয়ে তাঁরা খুশি হতে পারছেন না। ফলে দিয়াজের আপাতত টেনশন মিটলেও, পুরোপুরি মিটল বলা যায় না। এখন প্রতিটা ম্যাচেই তাঁর পরীক্ষা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।