বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > 1982 FIFA World Cup-এর পর থেকে একই গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলি একসঙ্গে হয়, আসল কারণটা জানেন?

1982 FIFA World Cup-এর পর থেকে একই গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলি একসঙ্গে হয়, আসল কারণটা জানেন?

১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপ থেকে শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলি একসঙ্গে হয়। কারণটা জানেন?

ফিফা যে প্রোটোকল অনুসরণ করে তাতে, প্রতিটি গ্রুপের শেষ দু'টি খেলার কিক-অফ একই সময়ে হয়ে থাকে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের ১৯৭৮ সালের আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ এবং ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপে ফিরে যেতে হবে।

মঙ্গলবার থেকে বদলে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ম্যাচের সময়সূচি। এ বার থেকে গ্রুপ লিগের শেষ রাউন্ডের বাকি সব ম্যাচের ক্ষেত্রে নতুন সময়সূচি থাকছে। একই সময়ে ২টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন থেকে ভারতীয় সময়ে আর দুপুর সাড়ে তিনটের ম্যাচ হবে না। এমন কী সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টা বা রাত সাড়ে ন'টার ম্যাচও হবে না। তার বদলে রাত সাড়ে আটটায় একই সঙ্গে একই গ্রুপের ২টি ম্যাচ হবে। আর মাঝরাত সাড়ে বারোটায় হবে একসঙ্গে আরও একটি গ্রুপের ২টি ম্যাচ।

মঙ্গলবার থেকে ফুটবল বিশ্বকাপে শুরু হবে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। এখনও পর্যন্ত ফ্রান্স, ব্রাজিল, পর্তুগাল তিনটি দলই নকআউটে পৌঁছে গিয়েছে। আরও ১৩টি দল জায়গা করে নিতে পারবে নকআউটে। তার জন্য লড়াই করবে বাকি দলগুলি। এর মধ্যে আয়োজক দেশ কাতার এবং কানাডা ছিটকে গিয়েছে লড়াই থেকে। বাকিদের মধ্যে কারা বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে, তা এই খেলাগুলির উপরে নির্ভর করবে। সেই কারণে, একই গ্রুপের চারটি দল শেষ রাউন্ডে একই সময়ে ম্যাচ খেলতে নামবে। অর্থাৎ, একই সময়ে শুরু হবে দু’টি করে খেলা।

আরও পড়ুন: রামধনু পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকে কাতারে হইচই ফেলে দেওয়া মারিও-র সঙ্গে রয়েছে কলকাতা যোগ

ফিফা যে প্রোটোকল অনুসরণ করে, প্রতিটি গ্রুপের শেষ দু'টি খেলার কিক-অফ একই সময়ে হয়ে থাকে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়?

এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের ১৯৭৮ সালের আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপ এবং ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপে ফিরে যেতে হবে। ১৯৭৮ সালে আয়োজক দেশ আর্জেন্তিনাকে সুবিধে করে দিতে, তাদের ম্যাচ দেওয়া হয়েছিল সবার পরে। সেই কারণে পরের পর্বে ওঠার জন্য কী করতে হবে, সেটা আগেই জানত তারা। সেই বার পেরুর বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচে জিততে হতো চার গোলের ব্যবধানে। আর্জেন্তিনা ম্যাচটা জিতেছিল ৬-০ গোলে, যে ম্যাচ নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

পরের বিশ্বকাপেই অর্থাৎ ১৯৮২ বিশ্বকাপে ফের এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকে ফুটবল বিশ্ব। সে বার স্পেনে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর। সেই আসরে একই গ্রুপে ছিল জার্মানি, অস্ট্রিয়া, আলজেরিয়া এবং চিলি।

আলজেরিয়ার জন্য সেই বিশ্বকাপ ছিল স্বপ্নপূরণের মতো। উদ্বোধনী ম্যাচেই তারা ফেভারিট পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে দিয়েছিল ২-১ গোলে। কোনও ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে আফ্রিকার কোনও দলের বিশ্বকাপে সেটা ছিল প্রথম জয়। পাশাপাশি আরবের কোনও দেশের জন্যও বিশ্বকাপের প্রথম জয় ছিল এটাই।

আরও পড়ুন: ইরানি ফুটবলারদের আচরণ নজর রাখছে সরকার- প্রতিবাদ করলেই পরিবারকে অত্যাচারের হুমকি

এই জয়ের পরের ম্যাচেই তারা অস্ট্রিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বসে। যদিও চিলিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে আবার লড়াইয়েফিরে আসে তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল পশ্চিম জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার। সমীকরণ এমন দাঁড়ায়, পশ্চিম জার্মানি যদি এক গোলের ব্যবধানে জেতে, তা হলে তারা এবং অস্ট্রিয়া চলে যাবে পরের পর্বে।

আর তিন গোলে জিতলে অস্ট্রিয়া এবং আলজেরিয়ার মধ্যে যে দল বেশি গোল করবে, তারা যাবে। আর জার্মানি হারলে বা ড্র করলেই বাদ। প্রসঙ্গত,সেই সময়ে ম্যাচ জিতলে দুই পয়েন্ট দেওয়া হত আর ড্র হলে এক পয়েন্ট। গ্রুপের অন্য দুটি দল - আলজেরিয়া এবং চিলি তাদের শেষ ম্যাচটি আগের দিন খেলেছিল।

২৫ জুন, ১৯৮২। স্পেনের ম্যাচের শুরুতেই ১০ মিনিটের মাথায় একটি গোল দেয় পশ্চিম জার্মানি। এর পর পুরো সময় অস্ট্রিয়া বা পশ্চিম জার্মানি, দুই দলের কেউ আর গোল করার কোনও চেষ্টাই করেনি। বোঝাই যাচ্ছিল, দুই দল ফলের হেরফের ঘটাতে চায় না। কারণ ম্যাচের এই ফলাফল (১-০) বজায় থাকলে, দুই দলই চলে যাবে পরের রাউন্ডে।

এই ম্যাচের পর তুমুল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। ‘গিজনের কেলেঙ্কারি’ নামে খ্যাত সেই ম্যাচের পর নতুন করে নিয়ম নিয়ে ভাবে ফিফা। পরের বিশ্বকাপ থেকেই গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ একই সময়ে চালুর সিদ্ধান্ত হয়, যে নিয়মটা চালু আছে এখনও।

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।

বন্ধ করুন