তিনি কোচ হয়ে আসার পরেই জয়ে ফিরেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়াকে হারিয়ে এই মরশুমের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী। এ বার সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে দলকে জেতাতে মরিয়া থাকবেন দলের স্প্যানিশ কোচ মারিয়ো রিভেরা। সোমবারের ম্যাচে দুই বিদেশি ফরোয়ার্ড আন্তোনিও পেরোসেভিচ ও মার্সেলো রিবেইরোকে একসঙ্গে খেলতে দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।
হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে মারিয়ো রিভেরা কী বলেছেন, দেখে নিন এক নজরে:
গত ম্যাচে জয়ের ফলে যে আত্মবিশ্বাস ও ছন্দ পেয়েছে দল, সেটা ধরে রাখার কী পরিকল্পনা?
যে কোনও দলের পক্ষেই জয় ব্যাপারটা খুব ভালো। দলের পরিবেশ ভালো থাকে। জয় সব সময়ই মানসিক ভাবে সাহায্য করে দলকে। এতে আরও বেশি পরিশ্রমের উৎসাহ বাড়ে। তবে এক ম্যাচে জিতলে পরের ম্যাচ সহজ হয় না। তবে ছেলেদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলার পক্ষে যথেষ্ট।
গত ম্যাচে জয় কতটা মানসিক শক্তি জোগাল?
জিতলে তো মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়বেই। এতে ভালো ফুটবল খেলার উৎসাহ বাড়ে। গত ম্যাচে আমাদের ডিফেন্সের পারফরম্যান্স দেখেই বুঝতে পারা গিয়েছে নিশ্চয়ই, মানসিক ভাবে ছেলেরা কতটা ভালো জায়গায় রয়েছে। মানসিক ভাবে ভালো জায়গায় না থাকলে, কখনও এত ভালো ডিফেন্স করা যায় না।
হায়দরাবাদ প্রতিপক্ষ হিসেবে কেমন?
হায়দরাবাদ লিগের অন্যতম সেরা দল। সম্ভবত ওদের দলের ভারসাম্য সবচেয়ে ভাল। আক্রমণে যেমন ওঠে, তেমনই ডিফেন্সও করে খুব ভাল। ওদের একজন ভাল কোচও আছেন। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে উনি খুব দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন। খুব ভাল খেলছে ওরা। ওদের দলে সর্বোচ্চ স্কোরার (বার্থোলোমিউ ওগবেচে) রয়েছে। আমার কাছে ওরাই সবচেয়ে ব্যালেন্সড দল।
পেরোসেভিচ অনেকদিন পরে মাঠে ফিরছেন। ওঁকে নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আন্তোনিও আমাদের অনেকটাই সাহায্য করবে। খুব ভাল মানের খেলোয়াড় ও। খুব দ্রুত উঠতে পারে। ফাইনাল পাসেও যথেষ্ট ভাল। ফলে গোল করার ও করানোর ক্ষেত্রে ও আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করবে। ও আমাদের দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
নতুন ফরোয়ার্ড মার্সেলো খেলবেন?
মার্সেলো খেলবে। তবে শুরু থেকেই খেলবে নাকি দ্বিতীয়ার্ধে নামবে, এখনই বলতে পারব না। মাঠে নামার জন্য ও তৈরি। তবে কত মিনিট ও খেলতে পারবে, তা পরখ করে দেখতে হবে।
গত ম্যাচে দেখা গিয়েছে, লাল-হলুদ ফুটবলাররা লং বলে না গিয়ে পাস খেলে আক্রমণে উঠেছে। এই পজেশন-নির্ভর ফুটবলই কি দেখা যাবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে?
হ্যাঁ, সেই চেষ্টাই থাকবে। বেশির ভাগই বল পায়ে রাখার চেষ্টা করব। তবে মরশুমের মাঝখান থেকে এই স্টাইল শুরু করে অভ্যেস করা কঠিন। ধাপে ধাপে আমরা এটা অভ্যেস করার চেষ্টা করছি। রোজই এই ভাবে অনুশীলন হচ্ছে এবং খেলোয়াড়দেরও এই স্টাইলে খেলার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। ওদের আস্থাও বাড়ছে। আমরা ধাপে ধাপে এগোব।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।