ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স দু'টি গোলই করেছে পেনাল্টি থেকে। আর আর্জেন্তিনার ৩ গোলের মধ্যে একটি ছিল পেনাল্টি থেকে। অথচ সেই একটি পেনাল্টি নিয়ে ফরাসীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। ফ্রান্সের সমর্থকেরা একেবারে বিক্ষোভের ঝড় তুলে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, আর্জেন্তিনার পেনাল্টিটা মোটেও ছিল না। অনৈতিক ভাবে আর্জেন্তিনাকে প্রথম গোলটি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি আর্জেন্তিনার তৃতীয় গোলটিও বাতিল করা উচিত ছিল রেফারির। এ বার নিন্দুকদের জবাব দিতে আসরে নামলেন ফাইনাল ম্যাচের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক। তিনি ছবি দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন ফ্রান্সের গোল নিয়েও। আর তাতেই গুটিয়ে গিয়েছেন ফরাসী সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে মেসির পরা আলখাল্লার দাম কত উঠল জানেন? শুনলে চোখ কপালে উঠবে
ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ শেষ হওয়ার পর, অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোল করে আর্জেন্তিনাকে ৩-২ এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এই গোলটিই রেফারির বাতিল করা উচিত ছিল বলে দাবি তুলেছেন ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মেসির পাশে দাঁড়িয়েই এমবাপের পুতুল হাতে ধরে শোভাযাত্রায় ঘুরলেন মার্টিনেজ
তাঁদের যুক্তি, মেসির দ্বিতীয় গোলের সময়ে মাঠে আর্জেন্তিনার ১১ জনের বেশি ফুটবলার ছিল। আর্জেন্তিনার এক জন ফুটবলার পরিবর্ত হিসেবে নামার জন্য সাইড লাইনের ধারে অপেক্ষা করছিলেন। গোলের সময় তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠের ভিতর চলে আসেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, নিয়ম অনুযায়ী কোনও গোল করার সময়ে রেফারি যদি বুঝতে পারেন সেই দলের অতিরিক্ত ফুটবলার, পরিবর্ত ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ মাঠের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে, তাহলে রেফারিকে গোল বাতিল করতে হবে। অতিরিক্ত সেই ব্যক্তিকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিতে হবে। খেলা শুরু করতে হবে ফ্রিকিক থেকে। তাই ফরাসীদের দাবি, রেফারির উচিত ছিল, আর্জেন্তিনার তৃতীয় গোলটি বাতিল করা।
আর সমালোচকদের এই অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন পোল্যান্ডের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক। তিনি একটি ছবি দেখিয়ে বলেছেন, ‘ফরাসিরা এই ছবিটার কথা বলেননি। এমবাপে গোল করার সময়ে মাঠের ভিতর ফ্রান্সের বাড়তি ৭ জন ফুটবলার কী করছিল?’ মার্সিনিয়ার ফোনে রেখে দেওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপে পেনাল্টি মারার সময় ফ্রান্সের রিজার্ভ বেঞ্চের ৭ জন ফুটবলার উত্তেজনায় মাঠের ভিতরে চলে যান।
এই ছবি দেখিয়ে পোল্যান্ডের রেফারি বলেছেন, ‘২টি গোলের সময়ই সব কিছু ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে, ২টি গোলই বাতিল করে দেওয়া উচিত ছিল।’ তাঁর এই জবাবের পর ফ্রান্সের সমালোচকরা অবশ্য আর কথা বাড়াননি।
এক সাংবাদিকের দাবি, এমবাপের গোল করার সময়ে ছবিটি তোলা হয়েছিল। তবে এমবাপের কোন গোলের কথা বোঝাতে চেয়েছেন পোলিশ রেফারি মার্সিনিয়াক, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর দাবি অনুযায়ী, মেসির গোল বাতিল করার দাবি যদি ওঠে, একই হিসাবে এমবাপেরও গোল বাতিল করা উচিত। সেক্ষেত্রে একই দোষে দুষ্ট দুজনের গোল-ই।
তবে কড়া হাতে ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য মার্সিনিয়াকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে ফরাসী সমর্থকদের অকারণ বিক্ষোভের জেরে এবং তাঁর ম্যাচ পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, মুখ খুলতে বাধ্য হলেন মার্সিনিয়াক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।