বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ০-২ পিছিয়ে থেকে তৃতীয় ম্যাচে জয়লাভ করে তারা। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে নেন স্টিভ স্মিথরা। তবে এখনও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ইন্দোর টেস্টে অজিরা জিতলেও সেই মাঠের পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছে। আসরে নামেন দুই দলের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের ভিত্তিতে আইসিসি ‘খারাপ' রেটিং দেয় ইন্দোরের পিচকে।
তবে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ার বোলার মাইকেল ক্যাসপ্রোউইচ পিচ নিয়ে এই অতিরিক্ত শোরগোল একবারেই পছন্দ করছেন না। ২০০৪ সালে ভারতের মাটিতে জেতা অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য তিনি। তাঁর মতে ভারতে খেলতে আসা প্রত্যেকটি দলের কাছে এটি খুব পরিচিত পিচ। তিনি বলেন, ‘আমি এই পিচ নিয়ে অতিরিক্ত কথা ঠিক মেনে নিতে পারছি না। ভারতের খেলতে যাওয়া, প্রত্যেক দলের কাছেই খুব সাধারণ পিচ এটা। ওরা হোম অ্যাডভান্টেজ পুরোপুরি ভাবে কাজে লাগাতে এই রকম পিচ তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে এই ম্যাচ তাড়াতাড়ি শুরু হওয়ায় পিচে কিছুটা অতিরিক্ত আদ্রতা থেকে যায়। যার ফলে বল বেশি ঘোরে। ম্যাচের শেষের দিকে এই অতিরিক্ত ঘোরাটা লক্ষ্য করা যায়নি।’
তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মার্ক টেলর থেকে মার্ক ওয়া এবং বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারও এই পিচের সমালোচনা করেছেন। প্রথম দুটি ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচটিও তৃতীয় দিনে শেষ হয়ে যায়। তবে ইন্দোরের ম্যাচে সবথেকে কম সেশন খেলা হয়েছে। আইসিসি নাগপুর এবং দিল্লির পিচকে ‘অ্যাভারেজ' রেটিং দিলেও ইন্দোরের পিচকে ‘খারাপ' আখ্যা দিয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন বোলার পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে মনে করে জানান, পিচ যেমনই হোক না কেন মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার ১৯৯৮ সালের বেঙ্গালুরু টেস্টের কথা মনে পড়ছে। ওই মাঠে পিচের সামনে দাঁড়িয়ে আমার একটা ছবি আছে। পিচে কোনও রকম ঘাস নেই। দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা শুকনো বিছানা ওটা। যেমনই পিচ হোক না কেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। এটাই টেস্ট ক্রিকেট।’
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ভারত সেই ম্যাচ জিতলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।