১৯৬৯ সালে তাঁর পায়ের জাদুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএফে শিল্ড ঘরে তুলেছিল মোহবাগান। গর্বের সাথে করেছেন সবুজ-মেরুনের অধিনায়কত্ব ও গত বছর ক্লাবের তরফ থেকে অর্জন করে নিয়েছেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডও। সেই প্রণব গঙ্গোপাধ্যায় আর নেই। ৭৫ বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন মোহনবাগান তথা ভারতের বিখ্যাত উইঙ্গার।
তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে তেমন বিশেষ কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা না থাকলেও, বেশ কিছুদিন যাবৎ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই শুক্রবার তিনি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবাদপ্রতিম কোচ অমল দত্তের প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। বল পায়ে ড্রিবলিং ও দুর্দান্ত টেকনিক্যাল দক্ষতায় পরিপূর্ণ প্রণবকে একাধিক জায়গায় খেলিয়েছেন অমল দত্ত এবং প্রায় প্রতিটি জায়গায়ই নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। চুনী গোস্বামী, সুধীর কর্মকারদের সতীর্থ ছিলেন তিনি। ফুটবলের পাশপাশি খেলেছেন হকিও।
সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে প্রায় ১২ বছর কাটিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত ক্লাবের তরফে জানানো হয়, ‘মোহনবাগান পরিবার প্রণব গঙ্গোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। ২০২০ সালে জাতীয় দলের হয়ে খেলা উইঙ্গারকে, ক্লাবের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।’
ময়দানে একডাকে সকলেই চিনতেন হাওড়ার শিবপুর থেকে আসা প্রণব গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর দূরপাল্লার শট রাতে ঘুম কেড়ে নিত প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকদের। মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবলের স্বর্ণযুগের অংশীদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ময়দান। এবার হয়ত অমল দত্ত ও তাঁর প্রিয় ছাত্র পরলোকে একসাথে বসে ফের বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেওয়ার ছক কষবেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।