শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স বা বলা ভালো ট্র্যাক আ্যান্ড ফিল্ডের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিধর দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিক গেমসের মত মঞ্চে এই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে একটা সময় ছিল তারা একছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলছন। পরবর্তীতে উসেইন বোল্ট, শেলি অ্যান ফ্রেসারদের দাপটে তা কিছুটা কমেছিল। ইউজিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছে।
কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডন সেমিফাইনালের আগেই বলে দিয়েছিলেন, ‘আমি আরেকবার বলছি। ফ্রেড কার্লি।’ অর্থাৎ ১০০ মিটারের সোনা জিততে তার বাজি ছিল ফ্রেড কার্লি। মরশুমের সেরা টাইমিং করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টারের। হিটেও দৌড়েছেন ৯.৭৯ সেকেন্ড সময়ে। যে দৌড় দেখে জর্ডনের মনে হয়েছিল কার্লি চাইলে আরও দ্রুত শেষ করতে পারতেন। তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জর্ডনের 'ঘোড়া' ছিলেন কার্লিই। তার সেই ভবিষ্যতবাণীও মিলিয়ে দিলেন জর্ডন। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের পুরুষদের ১০০ মিটারে সোনা জিতলেন সেই কার্লি। তবে শুধু সোনা জেতাই নয়। জর্ডনের ভবিষ্যতবানীকে সত্যি করে ৩১ বছর পরে ফের একবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পুরুষদের ১০০ মিটার দৌড়ে 'ক্লিন সুইপ' করল আমেরিকা।
অর্থাৎ সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জ—তিনটি পদকই পেল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার রাতে ওরিগনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে 'ক্লিন সুইপ' করল যুক্তরাষ্ট্র। স্বদেশি মার্ভিন ব্র্যাসি ও ট্রেভন ব্রোমেলকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন টোকিও অলিম্পিকের রুপোজয়ী কার্লি। অলিম্পিকের সোনাজয়ী ইতালির মার্চেল ইয়াকবস সেমিফাইনালে উঠলেও চোটের কারণে আর নামেননি ট্র্যাকে।
অলিম্পিকেও সবাইকে চমকে দিয়ে সোনা জিতেছিলেন ইয়াকবস। অলিম্পিকে নিজের সেরাটা তুলে এনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া এই স্প্রিন্টার। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের সেরা পারফরম্যান্সের ধারেকাছেও ছিলেন না ইয়াকবস। হিটে জ্যামাইকার ওবলিক সেভিলের পেছনে থেকে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। ১০.০৪ সেকেন্ডের এই দৌড়ই তাঁর মরশুম সেরা পারফরম্যান্স ছিল! তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কার্লিই ছিলেন ফেভারিট। ফেভারিটের মতোই শেষ করেছেন কার্লি।
প্রথম ৯৫ মিটার ব্র্যাসির পেছনে থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাকে টপকে দৌড় শেষ করেছেন ৯.৮৬ সেকেন্ডে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্র্যাসি ও ব্রমেলের সময় খালি চোখে ছিল একই- ৯.৮৮ সেকেন্ড।ফলে ৩১ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিনসুইপ সম্পন্ন হল । উল্লেখ্য ১৯৯১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কার্ল লুইস, লিরয় বারেল এবং ডেনিস মিচেল যুক্তরাষ্ট্রকে অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টের ১০০ মিটারে তিনটি পদকই এনে দিয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৮৩ সালেও ১০০ মিটারের তিনটি পদক যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিল। সেবারও সোনা জিতেছিলেন কিংবদন্তি কার্ল লুইস। রুপা ও ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ক্যালভিন স্মিথ ও এমিট কিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।