গত তিন মরশুমে টানা রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলা। তবে গত মরশুম বাদ দিলে, এই নিয়ে তারা দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠল। রবিবার মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন মনোজ তিওয়ারিরা। গত মরশুমে এই মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এ বার মধুর বদলা নেওয়ার পাশাপাশি, ৩৩ বছরের অধরা স্বপ্ন পূরণের আশাটাকেও জোরালো করল বঙ্গ ব্রিগেড।
১৯৮৯-৯০ সালে শেষ বার ঘরের মাঠে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। ৩৩ বছর বাদে ঘরের মাঠে ফের ফাইনাল। স্বপ্নপূরণের হাতছানি বাংলা শিবিরের সামনে। আর এই রঞ্জি ট্রফির ফাইনালকে ঘিরে বঙ্গ ক্রিকেটের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। হুহু করে চড়ছে পারদ। রঞ্জি ফাইনালে বাংলা মুখোমুখি হতে চলেছে সৌরাষ্ট্রের। তিন বছর আগেও ফাইনালে তারা সৌরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সে বার সৌরাষ্ট্রের ঘরের মাঠে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল বাংলার। এ বার শুরু থেকেই উলট পুরাণ। তাই ইডেনের ঘরের মাঠে বাংলার পাল্লা নিঃসন্দেহে ভারী থাকবে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের পর এ বার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও বদলার ম্যাচ বাংলার।
আরও পড়ুন: মেতে ওঠার মতো কিছু করিনি- রঞ্জির সেমিফাইনাল জিতেও আবেগে ভাসছেন না লক্ষ্মী
আর বাংলাকে সমর্থন করতে যাতে বেশি সংখ্যক দর্শক ইডেনে হাজির হয়, তার জন্য বিনা মূল্যে ইডেনের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে সকলের জন্য। অবাধ দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা রাখছে সিএবি। ইডেনের বি, সি, কে, এল ব্লকে বসে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকেরা। কোনও টিকিট ছাড়াই। সোমবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সরকারি অনুমতি এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সিএবি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রঞ্জির ফাইনাল।
এ দিকে রঞ্জির ফাইনালের জন্য জয়দেব উনাদকাটকে ছেড়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার। নাগপুরে একাদশে জায়গা হয়নি। দিল্লি টেস্টের আগে তাঁকে রঞ্জি ফাইনালের জন্য ছেড়ে দিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ বার এই উনাদকাট ছিলেন সৌরাষ্ট্রের রঞ্জিজয়ী দলে।
আরও পড়ুন: ম্যায় ঝুকেগা নেহি- নাগপুরে বিশ্রী হারের পর পুষ্পা স্টাইলে জবাব ওয়ার্নারের
রঞ্জির সেমিফাইনালে বাংলা প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান করার পরে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন, এই ম্যাচ জিততে পারবে কোচ লক্ষ্মীকতন শুক্লার টিম। বোলারদের দাপটে এই আশা আরও বেড়ে যায়। আকাশ দীপের আগুনে বোলিংয়ের সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন রজত পতিদাররা। মাত্র ১৭০ রানে শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের ইনিংস। একাই পাঁচ উইকেট তুলে নেন আকাশ দীপ।
প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানের বিশাল লিড নেয় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অনুষ্টুপ। তার পর প্রদীপ্ত প্রামাণিকের অপরাজিত ৬০ রানের সুবাদে ২৭৯ রান করে বাংলা। ম্যাচের শেষ দিনেও ভেল্কি দেখান প্রদীপ্ত। মাত্র ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২৪১ রানেই শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের ইনিংস। বিশাল ব্যবধানে জিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।