কোয়ার্টার ফাইনালে নোভাক জকোভিচের বাধা টপকাতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রাফায়েল নাদাল যে ১৪ বারের জন্য ফরাসি ওপেনের খেতাব হাতে তুলতে চলেছেন, ইঙ্গিত মিলছিল সেই থেকেই। তবু সেমিফাইনালে জেরেভের মুখে পড়তে হওয়ায় সংশয় একটা ছিলই। তবে জেরেভকে টপকে ফাইনালে ওঠার পরে টেনিসপ্রেমীরা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যান যে, ফের রোলাঁ গারোয় চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন নাদালই।
অনুরাগীদের হতাশ করলেন না রাফা। ফাইনালে ক্যাসপার রুডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে কেরিয়ারের ২২ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হলেন স্প্যানিশ তারকা। ফরাসি ওপেনের খেতাবি লড়াইয়ে নাদাল ৬-৩, ৬-৩, ৬-০ সেটে বিধ্বস্ত করেন নরওয়ের ২৩ বছর বয়সী টেনিস তারকাকে, যিনি এই প্রথম কোনও মেজর ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছিলেন। লড়াই চলে সাকুল্যে ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট।
চলতি মরশুমে এটি নাদালের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব হাতে তুলেছেন নাদাল। গত মরশুমে একটিও মেজর ট্রফি জিততে পারেননি নাদাল। গতবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন স্প্যানিশ তারকা। পরে চোটের জন্য উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন থেকে সরে দঁড়িয়েছিলেন। এবার চোট সারিয়ে কোর্টে ফিরেই মরশুমের প্রথম দু'টি মেজর ট্রফি নিজের নামে করেন রাফা।
উল্লেখ্য, সব থেকে বেশি ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড আগেই ছিল নাদালের নামে। সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে ২২ করলেন তিনি। ১৪ বার ফরাসি ওপেন জয়ের নিরিখে অবশ্য নাদালের ধারে-কাছে কেউ নেই।
নাদালের গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি:-
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২ বার): ২০০৯ ও ২০২২।
ফরাসি ওপেন (১৪ বার): ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২।
উইম্বলডন (২ বার): ২০০৮ ও ২০১০।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন (৪ বার): ২০১০, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০১৯।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।