কথায় আছে ‘যাঁর শেষ ভলো, তাঁর সব ভালো’। বছরের শুরুটাই যেমন খুব একটা ভাল কাটেনি শ্রেয়স আইয়ারের। অথচ বছরের শেষের দিকে সাফল্য যেন তাঁর পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাঁধে চোট পাওয়ার পর বেশ অনেকটা সময় মাঠের বাইরেই কাটাতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। চোটের জেরে কাঁধে অস্ত্রোপ্রচারও করতে হয় তাঁকে। তবে চোট সারিয়ে উঠে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেশ ভাল ছন্দে ছিলেন শ্রেয়স। আর এ বার কানপুরে অভিষেক টেস্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়স।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করলেও, ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে পুনরায় ভারতীয় দলে ফিরলেও সে ভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
তবে টেস্ট দলে ডাক পেয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি শ্রেয়স। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ১০৫ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন শ্রেয়স। তাঁর ইনিংসেই ভর করে ৩৪৫ রানে পৌঁছায় ভারত। শুভমন গিল ৫২ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ করেন। এ ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেছেন ৩৮ রান। বাকিরা কিন্তু সে ভাবে ভারতকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। সেখানে শ্রেয়সের সেঞ্চুরি ভারতের বড় মুলধন।
১৬ নম্বর ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে শ্রেয়স বিশ্ব ক্রিকেটকে মুগ্ধ করেছেন। নেটপাড়ায় তাঁকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন। প্রশংসা যেন একেবারে উপচে পড়ছে। শ্রেয়স নিজেও ইনস্টাগ্রামে তাঁর কামব্যাকের একটি অসাধরাণ ভিডিয়ো দিয়েছে। সেখানেও নেটিজেনদের ভালবাসা উপচে
কিছুটা ভাগ্য এবং অনেকটা পরিশ্রমের ফলেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টে অভিষেক হয় শ্রেয়স আইয়ারের। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করেন তিনি। ১০ নম্বর ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দেশের মাটিতে অভিষেক টেস্টে শতরান করেন শ্রেয়স। আর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কানপুরে টেস্টে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন আইয়ার। তাঁর আগে ১৯৬৯ সালে কিংবদন্তি গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ কানপুরে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।