নতুন মরশুমে অন্য রাজ্যের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন অশোক দিন্দা, এখবর বাংলার ক্রিকেটমহলে এতদিনে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যদল ছাড়ার আগে বাংলার তারকা পেসার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বোলিং কোচ রণদেব বসুকে নিয়ে, যাঁর সঙ্গে ঝামেলার জেরে গত মরশুমের মাঝ পথেই দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার দিন্দার নিশানায় বাংলার হেড কোচ অরুণ লাল। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিন্দা অভিযোগ করেন, রণদেব বসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে অরুণ লাল তাঁকে বাংলা দল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
দিন্দা এও জানান যে, কোচের প্রিয়পাত্র ছিলেন না বলে বারে বারে তাঁকে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে ফিটনেস নিয়ে। এমনকি ক্রমাগত উইকেট পাওয়া সত্ত্বেও বলে গতি কমে গিয়েছে, সুইং হচ্ছে না, এই সব বলে তাঁকে হতদ্যম করার চেষ্টা করেছেন কোচ। দিন্দার দাবি, বাংলা দলে কোচের কথাই শেষ কথা। অরুণ লাল নিজে যা সিদ্ধান্ত নেন, সেই অনুযায়ী দল পরিচালিত হয়। কোচ কারও কথা শোনেন না।
দিন্দা বলেন, 'আমি ফিট কিনা, সেটা কি কোচ বলে দেবেন? কোচ নিজে ফিট কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়। অরুণ লালের থিওরি হল যত পারো দৌড়ে যাও। এটা নব্বইয়ের দশকের থিওরি। এখনকার ক্রিকেট বদলে গিয়েছে। এতবছর ধরে যেভাবে ট্রেনিং করে আসছি, সেটা হঠাৎ করে বদলে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।'
দিন্দা আরও বলেন, 'আমি ক্লাব ক্রিকেট খেলি না, তাতে কোচের আপত্তি। ম্যাচে টানা বল করার পর ঘামে ভিজে যাওয়া পোশাক বদলাতে ড্রেসিংরুমে গেলে কোচের আপত্তি। ডাক্তারের নিষেধ রয়েছে বলে রাস্তায় দৌড়তে না চাইলে কোচের আপত্তি। আমার কোনও বিষয়ই কোচের পছন্দ ছিল না। আমার কাজ পারফর্ম করা। মাঠে নেমে উইকেট নিয়ে যাই বলে আমাকে চাপে ফেলা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই রণদেবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাকে দল থেকে বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন অরুণ লাল।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।