শুভব্রত মুখার্জি: ভারত তথা বিশ্ব কুস্তির ইতিহাসে অন্যতম সেরা কুস্তিগীর গামা পালোয়ান। যিনি তার কেরিয়ারের শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজেয়। যাকে একটি ম্যাচেও হারাতে পারেননি তার তাবড় তাবড় বিপক্ষরা। সমর্থকদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন 'দি গ্রেট গামা' নামে। আজ অর্থাৎ ২২ শেমে তার ১৪৪ তম জন্মদিন। আর তার জন্মদিনেই এক ক্রিয়েটিভ ডুডলের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করল গুগল।
রিংয়ে গামা পালোয়ানের উপস্থিতিই ভীতির সঞ্চার করত প্রতিপক্ষের মনে। ম্যাচ শুরুর আগেই যেন কোথাও হেরে বসে থাকতেন বিপক্ষের প্রতিযোগী। এতটাই দাপট ছিল রিংয়ে গামার। গামার সেই অপরাজেয় ক্ষমতার প্রতিই আজ শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করল গুগল। অতিথি শিল্পী বৃন্দা জাভেরি আজকের এই স্পেশাল ডুডলটি তৈরি করেছেন। ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্ব মঞ্চে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি যেভাবে তাকে তিনি রক্ষা করেছিলেন সেই কথা মাথাতে রেখেই এই ডুডলটি তেরি করা হয়েছে।
১৯০০ সালের গোড়ার দিক থেকে উত্তর ভারতে প্রথাগত কুস্তি জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ,পরিযায়ী শ্রমিকরা এই কুস্তি পারফর্ম করতেন তৎকালীন উচ্চবিত্তদের রয়্যাল জিমনেশিয়ামে। সেখানে ম্যাচ জেতার মধ্যে দিয়েই ধীরে ধীরে আসত জনপ্রিয়তা, স্বীকৃতি। কুস্তিগীরদের শারীরিক গঠন, তাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন অনেকেই। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই দিনে ৫০০ টি 'লাঞ্জ', ৫০০টি করে পুশ আপ করতেন গামা। ১৮৮৮ সালে সারা দেশের ৪০০ প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে তিনি জয়ী হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময়তে একাধিক হিন্দুর প্রাণ বাঁচিয়ে তাদের রক্ষাকর্তাও হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে লাহোরে তার মৃত্যু হয়েছিল। ১৯১০ সালের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৯২৭ সালের বিশ্ব রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন তিনি। ১৯২৭ সালে এই টুর্নামেন্টে অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে তাকে 'টাইগার' বলে অ্যাখ্যায়িতও করা হয়েছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।