বিরাট কোহলি কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি বলে, তাঁকে নিয়ে নানা সমালোচনা হয়। বিশেষ করে কোহলির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে যে ঝড় বইছে ভারতীয় ক্রিকেটে, তার মাঝেই যেন এই বিতর্ক আরও বেশি করে মাথাচারা দিয়েছে। এমন কী রবি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের কোচ থাকার সময়েও কোনও আইসিসি ট্রফি ভারত জিততে পারেনি। তা নিয়েও সমালোচনা কম হয় না!
তবে রবি শাস্ত্রীর মতে, কোনও প্লেয়ারকে আইসিসি ট্রফি দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত শাস্ত্রীর কোচিংয়ে শেষ তিন ফর্ম্যাটেই দাপট দেখিয়েছে ভারত। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। গ্রুপের প্রথম দু'টি ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজে ভাবে হেরে ছিটকে গিয়েছিল রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলির ভারত। ২০১৯ সালে ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হারতে হয়েছিল ভারতকে। আর গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারে তারা।
তবে রবি শাস্ত্রী আইসিসি ট্রফি না জেতা প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তাঁর মতে, এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের সাফল্য বিচার করার জন্য বিশ্বকাপের প্রয়োজন পড়েনি। তা হলে কোহলির ক্ষেত্রেই বা কেন বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে? রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘অনেক ভালো প্লেয়ার যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণরাও বিশ্বকাপ জেতেনি। তার মানে এটা নয়, ওরা খারাপ প্লেয়ার। আমাদের কাছে মাত্র দু'জন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আছেন। সচিন তেন্ডুলকরকে ছ’টি বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছিল একটা জেতার জন্য।’
২০০৩ সালে ফাইনালে উঠেছিল ভারতীয় দল। সৌরভের নেতৃত্বে ভারত সে বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয়েছিল। এর পর ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়। সেই বছরই হয় টি-২০ বিশ্বকাপ। যেখান থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন অনেক সিনিয়র প্লেয়ার। এক প্রকার জুনিয়রদের নিয়ে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নেমেই বাজিমাত করে ধোনির টিম। চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতে ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।