ক্রিকেটের ময়দানে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই যেমন উপভোগ্য, তার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় ছিল সচিন তেন্ডুলকর ও শোয়েব আখতারের ডুয়েল। ব্যাট-বলের সেই লড়াই ছিল তুল্যমূল্য। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে সচিনকে মোট ৯ বার আউট করেন শোয়েব।
৮ বার দেশের জার্সিতে তেন্ডুলকরের উইকেট নেওয়া উচ্ছ্বসিত করেছিল আখতারকে। তবে একবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তেন্ডুলকরকে আউট করে পাক স্পিডস্টারের মনে হয়েছিল যে, ভুল হয়ে গিয়েছে বিলকুল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃদু ধমকেই টনক নড়ে আখতারের। কারণটাও ছিল অত্যন্ত মজাদার।
আসলে শোয়েব আখতার সচিনকে টেস্টে ৩ বার এবং ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫ বার আউট করেন। একবার আইপিএলে সচিনের উইকেট নেন তিনি। ২০০৮-এর উদ্বোধনী আইপিএল মরশুমে শোয়েব কেকেআরের জার্সিতে মাঠে নামেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সেবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলনায়ক সচিনের উইকেট নিয়েছিলেন আখতার। তার পরেই তাঁকে অতিষ্ঠ করে মারে ওয়াংখেড়ের দর্শকরা। দর্শকদের ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচাতেই আখতারকে ফাইন-লেগ বাউন্ডারি থেকে সরিয়ে মিড-উইকেটে ফিল্ডিং করতে পাঠান সৌরভ। সেই সঙ্গে দাদা আখতারকে এও বলেন যে, ‘ওরা (দর্শকরা) তোমাকে মেরেই ফেলবে। সচিনকে আউট করতে কে বলেছিল তোমাকে? তাও আবার ওয়াংখেড়েতে!’
আখতার এতদিন পরে নিজেই জানালেন এমন অভিজ্ঞতার কথা। সেবার ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা মাত্র ৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৬৮ রান তুলে নেয়। সেই ম্যাচে সচিনকে শূন্য রানে আউট করে দর্শকদের ক্ষোভের আগুন টের পেয়েছিলেন আখতার।