ভারত শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল আজ থেকে ১২ বছর আগে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতে টিম ইন্ডিয়া। এমএস ধোনির নেতৃত্বেই ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেতাবের কাছাকাছি পৌঁছলেও ব্যর্থ হয় তারা। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ভারত।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে রোহিত শর্মার দল। এমন পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে ফেলে নির্বাচকমন্ডলী। ভারতের হতশাজনক ফলাফলের সমালোচনা করলেন ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভারতীয় ক্রিকেট গত দুই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ভুল হল খেলোয়ারদের বড় ম্যাচের আগে একসঙ্গে বেশি ম্যাচ না খেলা।’
২০১৩ সালের পর আইসিসির প্রতিটি টুর্নামেন্ট ভারত ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। বারবার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে হারতে হয়েছে। এর মাঝে আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বতে উঠতে পারেনি ভারতীয় দল। এ বিষয়ে গম্ভীর বলেন, ‘বড় ম্যাচের আগে খেলোয়াড়রা একসঙ্গে না খেললে কি করে হবে। কেউ বলতে পারবে আমরা শেষ কবে সেরা একাদশ দেখেছি। যে একাদশ খেলেছে তা সেরা নয়।’
গম্ভীর মনে করেন, ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার অর্থাৎ বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জাদেজাদের বারবার বিশ্রাম যাওয়া দলের জন্য ক্ষতিকারক। যদি বিশ্বকাপে ভালো করতে চায় তাহলে বড় প্লেয়ারদের বিশ্রাম দেওয়া যাবে না। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বলেন, ‘টানা খেলার ধকল সামলাতে যদি কেউ বিশ্রাম নিতে চান তাহলে টি-টোয়েন্টি বা আইপিএলের কয়েকটা ম্যাচ বসে থাকতে পারেন। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে জিততে হলে একদিনের ম্যাচ বেশি খেলতে হবে।’
এই বছর বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানে কি ট্রফির খরা কাটবে? এই প্রশ্ন গম্ভীরকে করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতকে একটি কোর টিম তৈরি করতে হবে। দলের সেই প্লেয়ারদের ঘন ঘন বিশ্রামে পাঠালে চলবে না। তাদের একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে তাহলেই বিশ্বকাপ জেতা যাবে। এখন অনেক ক্রিকেটার আইপিএল খেলার দিকে এগিয়ে যায়। আইপিএল প্রতি বছর হয় কিন্তু বিশ্বকাপ চার বছরে একবার হয় তাই আমার কাছে আইপিএল থেকে বিশ্বকাপ জেতা অনেক জরুরি। এ বিষয়ে বোর্ডকেও সতর্ক হতে হবে।’