‘ওর ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত নই’, ভারতের তারকা ক্রিকেটারের পরিবর্তের নাম বললেন গাভাসকর

জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ শামি টিমে নিশ্চিত ভাবে থাকবেন। তৃতীয় পেসার কে হবেন, সেটা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার এবং মহম্মদ সিরাজ রয়েছে লড়াইয়ে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও খারাপ পারফরম্যান্সের পর এই লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার।

বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাসকর।

সামনের দুই বছর দু'টি গুরুত্বপূর্ণ আইসিসি ইভেন্ট রয়েছে। সঙ্গে ভারতের ব্যস্ত ক্রীড়াসূচি। তার জন্য কুড়ি ও পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটের জন্য একটা শক্তিশালী টিম তৈরি করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট। আর সেই টিমে কোনও ভাবেই ভুবনেশ্বর কুমার রাখা যাবে না। কারণ তাঁর পারফরম্যান্স সম্প্রতি তলানিতে। এমনটাই দাবি ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের। তাই তিনি টিম ইন্ডিয়ার তারকা জোরে বোলারকে বিশ্রামে পাঠাতে বলেছেন। বদলে দীপক চাহারের কথা ভাবতে বলেছে টিম ইন্ডিয়াকে।

জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ শামি টিমে নিশ্চিত ভাবে থাকবেন। তৃতীয় পেসার কে হবেন, সেটা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার এবং মহম্মদ সিরাজ রয়েছে লড়াইয়ে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও খারাপ পারফরম্যান্সের পর এই লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। গাভাসকর তো বলেও দিয়েছেন, ভুবনেশ্বর কুমারের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি একেবারেই নিশ্চিত নন।

স্পোর্টস টু-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাসকর বলেছেন, ‘ভুবনেশ্বর কুমারের আদৌ কোনও ভবিষ্যৎ আছে কিনা, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। ওর যে গতি বা নিখুঁত বোলিং ছিল শুরুর দিকে, তেমনটা আর নেই। ম্যাচের শুরুর দিকে ওর বল মুভ করত, উইকেট তুলে আনত। সেটা শেষের ওভারেও হতো। ও আবার বেসিকসে ফিরে যাক আরও কঠোর পরিশ্রম করুক। আমার মনে হয়, ভারত এখন ওর বদলে দীপক চাহারের দিকে তাকাক।’

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘তূলনামূলক দীপক চাহারের বয়েস কম। অনেকটাই ভুবনেশ্বরের মতো বল করে। বলের দু'টো প্রান্তে সুইং করাতে পারে। ব্যাট হাতেও বেশ ভালো। ভুবি ভারতীয় ক্রিকেটকে দারুণ সার্ভিস দিয়েছে। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে ও টি-২০ ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েও প্রচুর রান দিয়েছে। ইনিংসে শুরুতে এবং শেষে ওর ইয়র্কার ও স্লোয়ার ডেলিভারি আর কার্যকর হচ্ছে না। প্রতিপক্ষ ওকে পড়ে নিচ্ছে বলেই এটা হচ্ছে। আমার মনে হয় সময় এসেছে ভুবির বদলে অন্য় কারোর দিকে তাকানোর।’