শুধু ক্রিকেটার হিসবেই নয়, শুরুর দিকে ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবেও বিবেচিত হন মনসুর আলি খান পতৌদি, ভারতীয় ক্রিকেটমহলে যিনি নবাব পতৌদি ও টাইগার পতৌদি নামে বেশি পরিচিত। ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫-এর মধ্যে দেশের হয়ে ৪৬টি টেস্ট খেলেছেন পতৌদি। যার মধ্যে ৪০টি টেস্টে তিনি জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে যে বিষয়টা তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলেছে তা হল, প্রায় গোটা কেরিয়ারেই তিনি ক্রিকেট খেলেছেন একটি চোখ নিয়ে।
১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন পতৌদি। একটি চোখে দেখতে না পাওয়া সত্ত্বেও এমন আকর্ষক টেস্ট কেরিয়ার অবাক করে সকলকে। পতৌদির কেরিয়ার নিয়ে ক্রিকেটবিশ্ব অভিভূত হলেও জিওফ্রে বয়কট বিষয়টা একটু অন্যভাবে দেখেন। তাঁর ধারণা, একটা চোখে দেখতে না পেলে টেস্ট ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়।
অর্থাৎ, বয়কট বিশ্বাসই করেন না যে, পতৌদির দৃষ্টি সংক্রান্ত কোনও প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেকথা তিনি একদা জানিয়েছিলেন নবাব পুত্র সইফ আলি খানকে। বলিউড তারকাই সামনে আনলেন সেই ঘটনা।
সইফ জানান, কীভাবে বয়কটের উপর তাঁর ভীষণ রাগ হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘বয়কট, যাঁকে আমি সত্যিই সম্মান করি, একদিন আমাকে ভীষণ রাগিয়ে দিয়েছিলেন। উনি বলেন, আমি তোমার বাবার সম্পর্কে শুনেছি। তবে আমি মনে করি একটা চোখ নিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়।’
সইফ আরও জানান, তিনি তখন বয়কটকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তাঁর বাবা কি তাহলে মিথ্যা কথা বলেন? উত্তরে বয়কট জানিয়েছিেলন, বোধহয় পতৌদি বানিয়ে বলতেন এমন কথা।
স্বাভাবিকভাবেই বয়কটের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হন সঈফ। তিনি তাঁর পিতাকে একথা জানিয়েও ছিলেন। তখন পতৌদি ছেলেকে বলেন, ‘ভালো, আসলে আমি দুটো চোখ নিয়ে অসাধারণ ছিলাম। একটা চোখে আমি শুধুমাত্র দারুণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।