যে কোন শীর্ষস্তরের ক্রিকেট দলের নির্বাচক হওয়াটা একেবারেই মুখের ব্যাপার নয়। দায়িত্বটা যদি ক্রিকেটপাগল ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের জাতীয় দলের হয়, তা হলে চাপটা আরও বেড়ে যায়। তবে সেই দায়িত্বই নিতে চলেছেন জর্জ বেইলি। অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করার পর অবসর নিতে চলা ট্রেভর হন্সের জায়গায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন বেইলি।
শুরুতেই প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানকে তাঁর অসাধারণ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান সদ্য নির্বাচিত নির্বাচক প্রধান। বেইলি বলেন, ‘আমি প্রথমেই ট্রেভরকে ওর অসাধারণ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসাবে আমার সময়কাল সহ বহুদিন ধরে ও নিজের কাজের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। নির্বাচকের দায়িত্ব খুবই কঠিন হলেও ও সব পরিস্থিতিতেই ঠান্ডা মাথায় ধারাবাহিকভাবে সবটা সামলে গেছে।'
১৯৮৯ সালে অ্যাসেজ সিরিজ শেষে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯১ সালে প্রথমবার নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব নেন। হনসের নির্বাচক থাকার সময়ই অস্ট্রেলিয়া টানা পাঁচটি অ্যাসেট সিরিজসহ নাগাড়ে ১৬টি টেস্ট ম্যাচ জেতার দুরন্ত রেকর্ড গড়ে। পাশপাশি ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে দুটি বিশ্বকাপও জেতে অজিরা। হনসের মতোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার থেকে নির্বাচক হওয়ার পথে তাঁর থেকেই অনুপ্রেরণার নিয়ে এগিয়ে যেতে চান বেইলি।
অস্ট্রেলিয়া তথা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের প্রাক্তন অধিনায়ক জানান, ‘ও খুব সহজেই মসৃণভাবে ক্রিকেটার থেকে নির্বাচক হিসাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। ট্রেভরের এই যাত্রা থেকে আমার কিছুই শেখার আছে এবং আসন্ন দিনে নতুন ধরনের নানা অভিজ্ঞতার জন্য় আমি মুখিয়ে আছি।’
শুরুতেই থিতু হওয়ার খুব বেশি সময় পাবেননা বেইলি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ঘরের মাঠে অ্যাসেজ সিরিজসহ ভারতীয় উপমহাদেশের একাধিক সফরের জন্য দল নির্বাচিত করতে হবে বেইলিকে। আপাতত তার সঙ্গে অপর নির্বাচক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তবে এই দুই জনের পাশপাশি তৃতীয় একজন নির্বাচককেও শীঘ্রই মনোনীত করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।