টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি। তা নিয়ে হতাশ হলেও পুরোপুরি ভেঙে পড়েননি। এমনই জানালেন ভারতীয় দলের তারকা শ্রেয়স আইয়ার। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, বাইরে যত সমালোচনা চলে, তত উদ্যম পান। অনুপ্রেরণাও পান সেই সমালোচনা থেকে।
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে শ্রেয়স বলেন, ‘ওটা হতাশাজনক ছিল। ছেলেবেলা থেকেই আপনি স্বপ্ন দেখেন যে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। দেশের হয়ে (বিশ্বকাপ) জয়ের বিষয়টি ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়।’
শ্রেয়স আরও বলেন, ‘তবে আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়িনি। ওই অনুভূতিটা আমি মাথায় চেপে বসতে দিইনি। আমি শুধুমাত্র নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলাম। আমি শুধু নিজের উপর মনোযোগ দিচ্ছিলাম। আমি কিছু সময়ের জন্য (খেলা থেকে) বিরতি নিয়েছিলাম। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে গিয়েছিলাম। যা আমার দক্ষতা বাড়াতে আরও সাহায্য করেছিল।’
আরও পড়ুন: ১৪ বছর বয়সে সচিনের একটি উপদেশই বদলে দিয়েছে জীবন- শ্রেয়সকে কী বলেছিলেন তেন্ডুলকর?
সেই পরিস্থিতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠেন, তাও ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে জানিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'দিনের শেষে সতীর্থ এবং অভিভাবকদের থেকে সম্মান আদায় করে নিতে চান আপনি।খেলোয়াড় হিসেবে যা আপনাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি যখন চাপে থাকি, তখন সেটা আমার থেকে সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করে। আমি সেটা করতে ভালোবাসি। যখনই আমার ভালো লাগে না, আমি পরিবারের লোকজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। ক্রিকেটটা মাথা থেকে বের করে ফেলি।'
সমালোচনায় বাড়তি উদ্যম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টে ছন্দে আছেন শ্রেয়স। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ২০২২ সালে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন। ৩৮ টি ইনিংসে ১,৪৮৯ রান করেছিলেন। রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১১ বলে অপরাজিত ১১৩ রান করেছিলেন শ্রেয়স। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন।
শ্রেয়স বলেন, ‘বাইরে যে কথাবার্তা চলে, তাতে আমার সেরাটা বেরিয়ে আসে। যত লোক আমার বিষয়ে কথা বলেন, তত আমি সেই কথা শুনি এবং সেই চাপ শুষে নিই। আমি নিজেকে বলি যে ওদের ভুল প্রমাণ করতে হবে। আমি যখন নেটে বা ম্যাচে ব্যাট করি, তখন সেভাবেই এগিয়ে যাই। এটা আমার কাছে অনুপ্রেরণার হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: Shreyas Iyer: KKR ক্যাপ্টেনকে ভারত অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান তাঁর গুরু নায়ার
সেইসঙ্গে কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স বলেন, 'আমি যে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে খেলি, তারাও যখন বকবক করে, তখন আমিও পালটা দিই। কারণ আমার মনে হয় যে সেটা করলে আমার খেলায় ছন্দে আসে। আমি বাড়তি উদ্দীপ্ত করে তোলে। আমায় আরও বেশি মনোযোগ করতে সাহায্য করে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।