শুভব্রত মুখার্জি
করোনাভাইরাসের ফলে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের একাধিক মানুষ। চাকরির অভাব তো দেশে ছিলই, করোনা সেই অবস্থাকে আরও তরান্বিত করেছে। ব্যবসার অবস্থাও তথৈবচ। এই অবস্থায় তার প্রভাব পড়েছে দেশের বিভিন্ন ক্রীড়াবিদদের উপরে। করোনা সংকটে দেশের বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। দু’বেলা অন্নসংস্থানে সমস্যা, আধপেটা বা একবেলা খেয়েই দিন কাটছে লাখ লাখ মানুষের। প্রত্যেকদিনই এরকম একাধিক ঘটনা সামনে আসছে।
এবার সামনে এল ঝাড়খণ্ডের এক জাতীয় পর্যায়ে সোনাজয়ী ক্যারাটে খেলোয়াড়ের করুণ দশা। সরকারি চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। করোনার ফলে সেই চাকরি এখনও পাননি রাঁচির বিমলা মুণ্ডা। ফলে অর্থ উপার্জনে দেশি মদ হাঁড়িয়া বিক্রি করছেন তিনি। ঘটনাটি শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর খবর ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ঝাড়খণ্ড সরকার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে ৩৪ তম জাতীয় গেমসে ঝাড়খণ্ডের হয়ে রূপো জিতেছিলেন বিমলা। ২০১২ সালে চতুর্থ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাও জিতেছিলেন। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার যে ৩৩ জন খেলোয়াড়কে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই তালিকায় নাম ছিল বিমলার। ফেব্রুয়ারিতে চাকরির পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় নথিপত্রের কাজ হয়ে গেলেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা জয়েনিং লেটার কিছুই পাননি।
সেই ঘটনা সামনে আসার পর যদিও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে বিমলার হাতে সরাসরি নিয়োগপত্রের তুলে দেওয়া হবে।