২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগেই শোয়েব আখতার পাগলের মতো ফাইনালের টিকিটের খোঁজ করে চলেছিলেন। আসলে তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ফাইনালে পাকিস্তান উঠবেই। আর তাঁর পরিবারের লোকজন যাতে ফাইনাল দেখতে আসতে পারেন, তার জন্য তিনি টিকিটের খোঁজ করে চলেছিলেন। দশ বছর পর এই রহস্য উন্মোচন করেছেন বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হরভজন সিং।
২০১১ বিশ্বকাপ জয়টা ভারতের কাছে একটা বড় স্বপ্নপূরণ হওয়া। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠাটাও ছিল মধুরতম এক মুহূর্ত। মজার বিষয় হল, সেমিফাইনালে নামার আগেই পাকিস্তান আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল। তারা ধরেই নিয়েছিল, ভারতকে হেলায় হারিয়ে দেবে। সম্ভবত এটাই তাদের হারের সবচেয়ে বড় কারণ। বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পর স্বপ্নপূরণের স্মৃতির পাতা ওল্টাতে গিয়ে হরভজন সিং বলছিলেন, ‘সেমিফাইনালের আগের রাতে শোয়েব আখতার আমাকে বলল, ওর পরিবার এবং আত্মীয়দের জন্য কিছু টিকিট দরকার। আমি বললাম, ঠিক আছে। কোনও সমস্যা নেই। আমি পিসিএ-তে (পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) ফোন করলাম। এবং কোনও ভাবে শোয়েবের জন্য চারটে টিকিট জোগাড় করলাম। আমি যখন ওকে টিকিটগুলো দিতে গেলাম, তখন ও আমাকে বলল, খুব ভাল হয়, তুমি যদি চারটে টিকিট ফাইনালের জন্যও জোগাড় করে দাও।’
এরই সঙ্গে ভাজ্জি যোগ করেন, ‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওই টিকিট দিয়ে ও কী করবে। ও কিছুটা জোর দিয়েই আমাকে বলেছিল, ওরাই (পাকিস্তান) মুম্বইয়ে ফাইনাল খেলতে যাবে। আমি তখন বলেছিলাম, তোমরা যদি মুম্বইয়ে যাও, আমরা কোথায় যাব? ভারতই ফাইনাল খেলবে। এবং তুমি সেই ম্যাচ নিশ্চয়ই দেখতে এসো। আমি তোমাকে আরও চারটে টিকিট জোগাড় করে দেব। কোনও সমস্যা নেই। তুমি এসো এবং মন দিয়ে আমাদের ম্যাচ দেখো।’ এর পরের ইতিহাস তো সকলেরই জানা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। ২ এপ্রিল মুম্বইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা। এই দিনটাকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে মনে করেন হরভজন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।