বাংলা নিউজ > ময়দান > 'হ্যারিস বারবার বলছিল, ফিরে এস', বিশ্বকাপ ফাইনালের চোট নিয়ে মুখ খুললেন শাহিন

'হ্যারিস বারবার বলছিল, ফিরে এস', বিশ্বকাপ ফাইনালের চোট নিয়ে মুখ খুললেন শাহিন

টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঁটুর চোট শাহিন শাহ আফ্রিদির

ঘটনাটি ঘটেছিল টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটে ঘটনাটি। শাদাব খানের বলকে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গন্ডগোল হয়ে যায় হ্যারি ব্রুকের।

শুভব্রত মুখার্জি: অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। সেই লো-স্কোরিং ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি বাবর আজমরা। ওই ফাইনালে পাকিস্তানের অন্যতম বড় ভরসা, পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি হাঁটুর চোট পেয়ে তাঁর নির্ধারিত ওভারের কোটা শেষ করতে পারেননি। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন শাহিন চোট না পেলে ফাইনালের ফল অন্যরকম হলেও হতে পারত। ফাইনালের সেই চোট নিয়ে মুখ খুললেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

ঘটনাটি ঘটেছিল টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটে ঘটনাটি। শাদাব খানের বলকে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গন্ডগোল হয়ে যায় হ্যারি ব্রুকের। লং অফ থেকে দৌড়ে এসে সেই ক্যাচটি ধরে ফেলেন শাহিন। তবে ক্যাচ ধরতে গিয়ে তাঁর হাঁটুটি হঠাৎ করেই গ্রাউন্ডে আটকে যায়। বেকায়দায় পড়ে যাওয়া হাঁটুর উপর এসে পড়ে তাঁর গোটা শরীরের ওজন। ফলে গুরুতরভাবে আহত হন শাহিন। এর পরবর্তী সময়ে সেই ফাইনালে তিনি তাঁর তৃতীয় ওভার বোলিংও শুরু করেন। তবে মইন আলিকে ওই ওভারের প্রথম বলটি ডট করার পরেই তাঁর হাঁটুতে যন্ত্রণা শুরু হয়। ‌যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি আর বল করতে পারেননি ফাইনালে।

সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে সেদিনের সেই চোট নিয়েই মুখ খুলেছেন শাহিন‌। তিনি জানিয়েছেন 'আমি যখন পড়ে গিয়েছিলাম (ক্যাচ ধরতে গিয়ে), তখনই আমি বুঝতে পারি আমার হাঁটু সরে গিয়েছে। এতটাই ব্যথা ছিল যে আমি হাঁটতেও পারছিলাম না। হ্যারিস আমার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটছিল। আমাকে বারবার ও বলছিল ফিরে এস, ফিরে এস। আমি ফিরে যাই। ফিজিও আমাকে সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষা করে। আমি ফিজিওকে বলি বিশ্বকাপের ফাইনাল চলছে। আমার দুই ওভার বাকি রয়েছে। তা বল করতে পারাটা খুব জরুরি। উনি আমাকে বলেন ফোলাটা বাড়ছে। চোট আরও বাড়তে পারে। আমাকে উনি ওষুধ দেন। তারপর আমি অল্প দৌড়ই। অধিনায়কও আমাকে যেতে বলেছিল। আমিও বুঝতে পারছিলাম আমার হাঁটু সহ্য করতে পারছে না। আমার এটাই ভাবনা ছিল যতক্ষণ প্রাণ রয়েছে ততক্ষন আমি দলের জন্য লড়াই করে যাব। নিজেকে দলের জন্য উৎসর্গ করব।'

বন্ধ করুন