এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরুষদের হকির ফাইনালে ভারতের বিজয়ধ্বজা উড়িয়েছেন হরমনপ্রীত সিং, জারমানপ্রীত সিংরা। ভারতীয় দল চিনের মাটিতে গিয়ে, তাঁদেরকেই ফাইনালে হারিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের হকি খেলোয়াড়রা অবশ্য চিনকেই সমর্থন করেছিলেন। তাঁদের মুখেও ভালো করেই ঝামা ঘষে দিয়েছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। চিনকে ১-০ গোলে হারায় প্যারিস অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ মেডেলিস্টরা। ক্রেগ ফুলটনের দলকে অবশ্য বেশ চাপের মধ্যেই একসময় ফেলে দিয়েছিল চিন, সেকথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং।
আরও পড়ুন-কুঁকড়ে ছিলেন ব্যাটাররা! অশ্বিন-জাদেজা এসেই শুরু পাল্টা মার! পেটালেন শাকিবকে…
ফাইনালে স্ট্রাইকার হরমনপ্রীতও গোল পেতে পারতেন, কিন্তু তাঁর একটি শট ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়, এরপর ম্যাচের চতুর্থ কোয়ার্টারে ভারতের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন যুগরাজ সিং। চিন শিবিরও ভালো লড়াই দেয়, পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে তাঁরাও বিক্ষিপ্তভাবে। এই নিয়ে পঞ্চমবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পুরুষদের হকিতে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় দল। তাঁর মধ্যে একবার ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, বাকিবার এককভাবেই।
চিনকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হয়েছে। চিন দল আমাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল, ফলে সেরকভাবে আমরা আক্রমণ তৈরি করে উঠতেই পারিনি। কিন্তু আমাদের দলের ভালো বিষয় হল, একে অপরের প্রতি আমরা প্রত্যেকে বিশ্বাস আর ভরসা করি। একে অপরের জন্য আমরা জীবন দিতেও পারি। এই ঐক্যতাই আমাদের ম্যাচ থেকে জয় তুলে আনার মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে ’।
ভারতীয় দলের এখন সব থেকে বড় শক্তিই হল ধারাবাহিকতার। ২০২১ সালে টোকিয়োর পর ২০২৪ সালের অলিম্পিক্সেও পদক পেয়েছে ইন্ডিয়া হকি। সেই নিয়েই হরমনপ্রীত যোগ করে বলেছেন, ‘গতবছর চেন্নাইতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সোনা, এশিয়ান গেমসে সোনা এবং সর্বপরি এবারের অলিম্পিক্সে পদক জয় আমাদের দলকে অনেক সঙঘবদ্ধ করেছে। আমরা শিরোপা দখলে রেখেছি বলে খুশি, তবে আরও পরিশ্রম করতে হবে আমাদের, আরও উন্নতি করতে হবে। আমাদের দলের গভিরতা আরও বাড়াতে হবে, কদিনের বিরতির পরই দল আবার অনুশীলনে নেমে পড়বে পরের প্রতিযোগিতার জন্য ’।
ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক বিবেক সাগর প্রসাদ বলছেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ স্টেজেও দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। আর অলিম্পিক্সে পদক জয় আমাদের গায়ে ফেভারিটের তকমা সেঁটে দিয়েছিল। আমাদেরকেই হারানোর টার্গেট নিয়েছিল সকলে, কিন্তু আমাদের দলের ছেলেরাও নিজেদের সেরাটা দিয়েছে যাতে প্রত্যেকটা হার্ডেল টপকে যেতে পারি। কৃষান, সুরজরা আমাদের অনেক কঠিন পরিস্তিতি থেকে উদ্ধার করেছে ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।