ক্রিকেট বিশ্ব হর্ষ ভোগলের নাম সবার জানা। ক্রিকেটার না হলেও ধারাভাষ্যকার হিসাবে সকলের মন জয় করেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় অনেক সামাজিক ইস্যু নিয়েও মতামত রাখেন হর্ষ। এবার যেমন রাখলেন এনআরসি-সিএএ বিতর্ক প্রসঙ্গে। ভারতের শাসকদের সেকুলার ও লিবারাল নীতি নেওয়া উচিত বলে জানান ভোগলে।
NPR- NRC- মিল কোথায়, অমিল কোথায়
টুইটারে তাঁর কথাকে ব্যবহার করে নিজের প্রোপাগান্ডা করতে গিয়েছিলেন এক অস্ট্রেলিয়ান। বর্তমান শাসকদের সঙ্গে নাজিদের তুলনা টানেন সেই বিদেশি। এতেই কড়া প্রতিবাদ করেন হর্ষ। ভারত ভেঙে গিয়েছে, এটা বলা ভুল বলে জানান তিনি। ভারতকে সবাই ভালোবাসে বলেই সমালোচনা করা হয়, বলেন হর্ষ। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে ভারতীয় গণতন্ত্র মজবুত ও পরিণত। এভাবেই হর্ষ বুঝিয়ে দেন যে অনেকের মতো গেল গেল রব করার পক্ষে তিনি নন। যেখানে সরকার ভুল করছে বলে মনে হচ্ছে, সেটি তিনি তুলে ধরেছেন, কিন্তু তার মানেই ভারতে সব উচ্ছনে গিয়েছে, সেটা মনে করেন না তিনি।
দেখুন ফেসবুকে কী লিখেছেন হর্ষ ভোগলে-
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে হর্ষ লিখেছেন যে নবীনদের একটু উত্সাহ দিলে তাঁরা অনেকটা এগিয়ে যায়। তরুণ প্রজন্মের জন্য দেশের নীতি নির্ণায়করা যদি ধর্মনিরপেক্ষ, লিবারাল আদর্শ নিতে পারেন, তাহলে ভারত বহু আগে যেতে পারে বলে তিনি মনে করে। নবীনরা সেটিই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বার্তা দিতে চাইছে বলে জানান হর্ষ। টুইটারে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একজন ডেেনিস নামের এক অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার যিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গেও যুক্ত বলেন-
হর্ষকে প্রশংসা করার অছিলায় সে ঘুরিয়ে ভারতের নিন্দা করতে গিয়েছিল। একই সঙ্গে গৌতম গম্ভীরকে বিজেপির সাংসদ হওয়ার জন্যেও সমালোচনা করেন তিনি। কিন্তু কড়া আপত্তি জানান হর্ষ।
হর্ষ বলেন যে ভারত দু-টুকরো হয়ে যায়নি। দেশে অনেক নবীনরা দারুন কাজ করছে বলে জানান হর্ষ। ভারতে গণতন্ত্র পরিণত ও এখানে মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ অধিকার আছে, বলেন হর্ষ। এই জন্যে কোনও ভাবেই নাজি জার্মানির সঙ্গে ভারতের তুলনা টানা যায় না, সাফ জানান ধারাভাষ্যকার। কোনও কিছু পছন্দ না হলে ভারতীয় হিসাবে অসন্তোষ জাহির করার অধিকার আছে, বলেন হর্ষ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।