দীপ্তি শর্মার মানকাডিং বিতর্কে ইংরেজদের ধুয়ে দিলেন হর্ষ ভোগলে। রীতিমতো কড়া ভাষায় মুদৃভাষী হর্ষ বললেন, ইংল্যান্ডের লোকজন ভাবেন যে ওঁরা যেটা ঠিক বলেন, সেটাই ঠিক বলে মেনে নেবে দুনিয়া। এই ঔপনিবেশিক মানসিকতার কারণেই দীপ্তিকে অশ্লীল আক্রমণ করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন হর্ষ।
শুক্রবার টুইটারে হর্ষ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিরক্ত হচ্ছি যে আইন মেনে খেলা একটা মেয়ের দিকে দাঁত-নখ বের করে ছুটে আসছে ইংল্যান্ডের একটি বড় অংশের সংবাদমাধ্যম। অথচ বেআইনিভাবে ফায়দা লুটতে থাকা এবং লাগাতার অপরাধ করে যাওয়া অপর একজনের ক্ষেত্রে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। সেই তালিকায় যথেষ্ট বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ লোকজনও আছেন।’
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার বলেন, 'আমার মতে, এটা একটা সাংস্কৃতিক বিষয়। ইংরেজরা মনে করেন যে এটা করা (মানকাডিং করা) ভুল এবং ওঁরা যেহেতু ক্রিকেট দুনিয়ার একটা বড় অংশকে শাসন করেছেন, তাঁরা সবাইকে বলেছেন যে এটা ভুল। ওঁদের ঔপনিবেশিক শাসন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে খুব কম মানুষ সেটার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর চড়াতে পারতেন। ফলস্বরূপ, এখনও মানসিকতা রয়ে গিয়েছে, যা ইংল্যান্ড ভুল ভাববে, সেটাই বাকি ক্রিকেট দুনিয়া ভুল বলে গণ্য করবে।'
গত সপ্তাহের শনিবার লর্ডসে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ইংরেজ ব্যাটার চার্লি ডিনকে মানকাডিং করেছিলেন দীপ্তি। ৪৪ তম ওভারের তৃতীয় বলটি যখন করতে যাচ্ছিলেন দীপ্তি, তখন বল করার আগেই ক্রিজে বাইরে চলে গিয়েছিলেন চার্লি। পিছনে ফিরে নন-স্ট্রাইকার এন্ডের স্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন দীপ্তি। বিষয়টি আইনসিদ্ধ হওয়ায় আউট দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সেই উইকেটের ফলে ম্যাচও জিতে গিয়েছিল ভারত।
তারপর থেকেই ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের একাংশের তোপের মুখে পড়েছেন দীপ্তি এবং ভারতীয় ক্রিকেট দল। বাউন্ডারির সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের খেলোয়াড়রাও স্পিরিটের বুলি আওড়াতে থাকেন। যা একটা সময় সমস্ত সীমা অতিক্রম করে যায়। কলকাতায় ফিরে দীপ্তি বলেছিলেন যে চার্লি বারবার (প্রমাণ চাইলে এখানে ক্লিক করলে) সময়ের আগে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে আগও সতর্ক করা হয়েছিল। পালটা ইংরেজদের নিয়মিত অধিনায়ক হেথার নাইট কার্যত দাবি করেছিলেন, মিথ্যা বলছেন দীপ্তি।
সেই পরিস্থিতিতে পালটা ইংরেজদের একহাত নিয়েছন হর্ষ। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড চায় যে বাকি দুনিয়াও নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ব্যাটারকে রান-আউট করার বিষয়টি অপছন্দ করুক। সেইসঙ্গে দীপ্তি এবং যারা এটা করেছে, তাদের নোংরা এবং অপমানজনক ভাষায় আক্রমণ করছে। শতাব্দীপ্রাচীন ঔপনিবেশিক তন্দ্রা কাটিয়ে অন্যদের ঘুম থেকে উঠতে বলে আমরাও পালটা দিয়েছি।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমাজের বিচারকরা আইনের উপর নির্ভর করেন। ক্রিকেটেও সেটা হওয়া উচিত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।