প্লেয়ার তোলার ক্ষেত্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারে কাছে কেউ নেই। এটা মোটামুটি সবাই জানেন। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির ট্যালেন্ট চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও যে মহারাজের বড় ভূমিকা ছিল, সেটি বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে জয় ভট্টাচার্য্য। সঞ্চালক গৌরব কাপুরের পডকাস্টে এসে এই কথা বলেন জয়।
২০০৪ সালে প্রথম দলে আসেন ধোনি। প্রথম সিরিজ বাংলাদেশ যদিও তেমন দাগ কাটতে পারেননি মাহি। অভিষেকে কোনও রান না করেই আউট হন। পরের দুটি ম্যাচেও সামান্য রান করেন। অনেকের ক্ষেত্রে এরকম একটি সিরিজ দল থেকে পাকাপাকি বিতাড়নের কারণ হয়ে যায়।। কিন্তু ধোনির ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরংপাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁকে তিনে নিয়ে আসেন সৌরভ, ধোনি ১৪৮ করেন। ফের শুরু হয় মাহি ম্যাজিক, যা পরবর্তী এক দশকে ভারতকে ক্রিকেটের সমস্ত বড় ট্রফি জিততে সাহায্য করে।
কিন্তু হিরে প্রথম চিনেছিলেন সৌরভ সেই বাংলাদেশ সিরিজেই যেখানে ধোনি রান পান নি। জয় ভট্টাচার্য্য বলেন যে সফর চলাকালীন একবার ফ্লাইটে সৌরভের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই দাদা তাঁকে ধোনির সম্বন্ধে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সৌরভ বলেন যে চাবুক একটা নতুন ব্যাটসম্যান এসেছে। জয়কে তিনি বলেন যে একে আপনাকে দেখতেই হবে, বড় স্টার হবে এই ছেলে ভবিষ্যতে।
প্রাক্তন কেকেআর কর্তা জয় বলেন যে কোনও ছেলের মধ্যে ট্যালেন্ট থাকলে সেটি স্পট করতে এক নম্বর ছিলেন সৌরভ। এবং সেই ছেলেকে পুরো ব্যাকিং দিতেন তিনি। এমনকী সে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়তেন না অধিনায়ক সৌরভ।
এই প্রসঙ্গে বীরেন্দ্র সেহবাগকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর কথাটি বলেন জয়। তখনও পর্যন্ত জীবনে ওপেন করেননি সেহবাগ। কিন্তু নজফগড়ের নবাবকে সৌরভ ওপেনিংয়ে পাঠান এই বলে যে মিডল অর্ডারে জায়গা নেই। তুমি ওপেনিং করো, নিজের জাত সেখানে চেনাও। সেই কথা শুনে ওপেনিং শুরু করলেন সেহবাগ। বাকিটা ইতিহাস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।