মধ্যপ্রদেশ ১০০ রান করার আগেই ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। বাংলার বোলারদের তখন খেলতেই পারছিলেন না মধ্যপ্রদেশের ব্যাটাররা। মুকেশ কুমার, আকাশ দীপদের দুরন্ত বোলিং আটকাতে একটা সময় কালঘাম ছুটছিল মধ্যপ্রদেশের। সেই সময়ে ত্রাতা হয়ে উঠলেন হিমাংশু মন্ত্রী। প্রকৃত মন্ত্রীদের মতোই ঠাণ্ডা মাথায় বাংলার স্ট্র্যাটেজি বুঝে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন হিমাংশু। চাপের মাঝেই করে ফেলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শতরান। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের স্কোরবোর্ডকেও কিছুটা ভরসা জোগান হিমাংশু।
রঞ্জির সেমিফাইনালের বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশের বিস্তারিত স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে:
যশ দুবে (৯), রজত পতিদাররা (৭) যখন ব্যর্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন, তখন দায়িত্ব নিয়ে মধ্যপ্রদেশের ইনিংসের হাল ধরেন ওপেন করতে নামা হিমাংশু। ছয়ে নেমে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছিলেন অক্ষত রঘুবংশী। তিনি ৮১ বলে ৬৩ রানও করে ফেলেন। কিন্তু আকাশ দীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন অক্ষত। তবে মন্ত্রী কিন্তু ১০০ পার করে ফেলেন। ২১১ বলে তিনি শতরান করেন। ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে। তাও মারাত্মক চাপের মাঝে, সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য আবির্ভাব, রঞ্জিতে টানা ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি রঘুবংশীর
টসে জিতে মধ্যপ্রদেশ প্রথমে ব্যাট নিয়েছিল। শুরুতেই বাংলার বোলারদের চাপে কোণঠাঁসা হয়ে গিয়েছিল যশ দুবেরা। তব হিমাংশু মন্ত্রী এবং অক্ষত রঘুবংশীর হাত ধরে মধ্যপ্রদেশ কিছুটা হলেও স্বস্তির জায়গায়। বিশেষ করে মন্ত্রীর সেঞ্চুরির হাত ধরে অক্সিজেন পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ। নিঃসন্দেহে হিমাংশু মন্ত্রীর শতরান না হলে কিন্তু ল্যাজেগোবরে হতে হত মধ্যপ্রদেশকে।
এই কপি লেখার সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২৫০ পার করে গিয়েছে। আর মন্ত্রীর স্কোর ১৩০ পার করেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।