শুভব্রত মুখার্জি: আসন্ন বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কয়েক দিন আগেই জানানো হয়েছিল হকি ইন্ডিয়ার তরফে। আর তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কার্যত তাদেরকেই একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর মতে, এতবড় সিদ্ধান্ত হকি ইন্ডিয়া একক ভাবে নিতে পারে না। এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার অন্তত সরকারের সাথে তাদের আলোচনা করে নেওয়াটা জরুরি ছিল।
অনুরাগ ঠাকুরের স্পষ্ট বক্তব্য, দেশের অলিম্পিক্স খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রধান স্পন্সর হওয়ার নিরিখে সরকারের অধিকার রয়েছে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। ঠাকুর জানান, ‘আমি মনে করি কোনও ফেডারেশনের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সরকারের সাথে একবার আলোচনা করে নেওয়া উচিত। কারণ এটা কোন ফেডারেশনের দল নয়, এটা জাতীয় দল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘১৩০ কোটির দেশে মাত্র ১৮ জন ক্রীড়াবিদ নেই, যারা খালি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কমনওয়েলথ একটি বিশ্ব পর্যায়ের ইভেন্ট। আমি মনে করি এই বিষয়ে হকি ইন্ডিয়ার সরকারকে এবং সরকারি ডিপার্টমেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার ছিল। সিদ্ধান্তটা সরকার নিত।’ উল্লেখ্য হকি ইন্ডিয়ার তরফে করোনার কারণ দেখিয়ে এবং ব্রিটিশ সরকারের বৈষম্যমূলক কোভিড প্রোটোকলের কথা বলে এই না খেলার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এর আগে অবশ্য হকি ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, যেহেতু কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসের মধ্যে মাত্র ৩২ দিনের ব্যবধান রয়েছে এবং এশিয়ান গেমস থেকে সরাসরি অলিম্পিক্সে কোয়ালিফাই করা যাবে, ফলে ভারত এশিয়ান গেমসেই মনোনিবেশ করবে। এই প্রসঙ্গে ঠাকুরের মন্তব্য, ‘দেশে হকি খেলোয়াড়ের কোনও কমতি নেই। আপনি যদি দেখেন, আইপিএল খেলার পরেই বিশ্বকাপ খেলছে ক্রিকেটাররা। পরপর টুর্নামেন্ট খেলতে প্রফেশনাল লেভেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমি বুঝতে পারছি, এশিয়ান গেমসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আমি সেই বিষয়টিতে ঢুকছি না। আমি এটা বলতে চাইছি, ভারতীয় দল খেলবে কি খেলবে না, সেটা ফেডারেশন একা নয় সরকারও ঠিক করবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।