একটি বা দুটি ম্যাচ খেলেছেন, এরকম নয়। দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে মোট ৭৮২ টি ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন। ম্যাচ খেলেছেন মোট ৬৬৪ টি। তারপরও কোন ইনিংসে কার বলে এবং কীভাবে আউট হয়েছেন, তা একেবারে গড়গড় করে বলে দিলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম খেলোয়াড় সচিন তেন্ডুলকর। যা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। কীভাবে এটা সম্ভব হতে পারে, সেটার কূলকিনারা পাচ্ছেন না। বিশেষত তথাকথিত কোনও স্মরণীয় ইনিংসে কীভাবে আউট হয়েছিলেন, তা সচিনের থেকে জানতে চাওয়া হয়নি। ৭৮২ টি ইনিংসের মধ্যে কম স্মরণীয় ইনিংসেও কীভাবে আউট হয়েছেন, তা একেবারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে দেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা।
সংবাদমাধ্যমে ইন্ডিয়া টুডে'র কনক্লেভের একটি আলোচনা চক্রে সচিনের ‘স্মৃতিশক্তির পরীক্ষা’ নেওয়া হয়। প্রথমেই সঞ্চালক জানতে চান যে নিজের প্রথম ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কীভাবে আউট হয়েছিলেন সচিন। একেবারে সঙ্গে-সঙ্গে সচিন বলতে শুরু করেন, ‘ক্রিস লুইস বোল্ড করেছিল। প্যাভিলিয়ন এন্ড থেকে বল করছিল ক্রিস লুইস। মিড-উইকেটের দিকে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে গিয়েছিলাম। বোল্ড হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তাই তো?’
সেখানেই থামেননি সচিন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে কীভাবে আউট হয়ে গিয়েছিলাম, সেটা যদি জানতে চান, এখনই বলে দিচ্ছি। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যাঙ্গেস ফ্রেজারের বল আউট হয়েছিলাম। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে বল ছিল। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ ধরেছিল।’ যা শুনে হতবাক হয়ে যান খোদ সঞ্চালকও। তিনি জানান, প্রথম ইনিংসে যে লুইস আউট করেছিলেন, সেই তথ্যটুকু বের করে রেখেছিলেন। সেখানে সচিন পুরো খুঁটিনাটি বলে দেন সচিন। যিনি আরও কয়েকটি ইনিংসে কীভাবে আউট হয়েছেন, তাও বলে দেন।
আরও পড়ুন: সচিনকে স্লেজ করে কতটা বিপদে পড়েছিলেন পাক তারকা- সাকলিন শোনালেন মজার গল্প
প্রশ্ন: কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কীভাবে আউট হয়েছিলেন?
সচিন: ইয়ান বোথাম বল করেছিল। কট বিহাইন্ড। বোথাম আমায় আউট করার পর যেরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, সেটা একেবারে উপভোগ করিনি। ভিতরে যেন আগুন জ্বলছিল।
প্রশ্ন: ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে নয়াদিল্লিতে গ্রুপ লিগের ম্যাচে কীভাবে আউট হয়েছিলেন? যে ম্যাচে ১৩৭ রান করেছিলেন।
সচিন: এটা সহজ, আমি রান-আউট হয়েছিলাম। যদি ভুল না বলি, তাহলে (ইনিংসের) শেষ বল ছিল। ৫০ তম ওভার ছিল। চামিন্ডা ব্যাস বল করছিল। আমি বড় শট মারতে গিয়েছিলাম। সোজা বোলারের কাছে বলটা চলে গিয়েছিল। কিছুটা ডানদিকে ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে এটা তো শেষ বল। এক রান হয়ে গেলে (দলের স্কোর) এক রান বেড়ে যাবে। বল স্টাম্পে না লাগলে দলের জন্য বাড়তি এক রান করতে পারব। আমি একটা সুযোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ক্রিজের ঢোকার ১০ গজ আগেই আউট হয়ে গিয়েছিলাম। ও রান-আউট করে দিয়েছিল। কিন্তু আমি একটা সুযোগ নিয়েছিলাম।
প্রশ্ন: ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে কীভাবে আউট হয়েছিলেন? আপনি ৭৬ রান করেছিলেন।
সচিন: ৭৬ রান করেছিলাম। প্যাভিলিয়ন এন্ড থেকে গ্লেন ম্যাকগ্রাথ বল করছিল। কট বিহাইন্ড হয়েছিল। গিলক্রিস্ট (ক্যাচ ধরেছিল)। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমি ভালো খেলছিলাম। মার্ক ওয়ার বলে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। আমি পুল করেছিলাম। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের পিঠে বল লেগেছিল। ঝাঁপিয়ে শর্ট মিড-উইকেটে ক্যাচ নিয়েছিল রিকি পন্টিং।
প্রশ্ন: ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কীভাবে আউট হয়েছিলেন?
সচিন: বড্ড সোজা প্রশ্ন করছেন। হাফ-ভলি দিচ্ছেন। (জেমস) অ্যান্ডারসনের বলে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। পাওয়ার প্লে'তে আমি ফ্লিক করতে গিয়েছিলাম। বল কিছুটা ঢিমেগতিতে এসেছিল। আমি বড্ড আগে খেলে খেলেছিলাম। ব্যাটের মাথায় বল লেগে উপরে উঠে গিয়েছিল। কভারে ক্যাচ ধরেছিল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)