সালটা ছিল ২০১০। ক্রিকেটের আকাশে তখন গড়াপেটার কালো ছায়া। স্পট ফিক্সং-এ জড়িয়ে পড়ল পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার, মহম্মদ আমির, সলমন বাট ও মহম্মদ আসিফ। ব্রিটিশ ডেলিতে প্রকাশিত হল তিন ক্রিকেটারের গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার সব রকম তথ্য। ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে গেল প্রত্যেকের। বাকিদের সঙ্গে মহম্মদ আমিরের ৫ বছরের নির্বাসন সহ জেল হল।
এরপর বাইশ গজে ফিরে এলেন আমির। দেশের হয়ে মাঠে নামলেন। পরে পাকিস্তানের ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। এরপর ইংল্যান্ডের ক্লাবে চুক্তি বদ্ধ হয়ে আবার ক্রিকেটকের বাইশ গজে ফিরলেন। তারপরেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দিকে একের পর এক সমালোচনার বোমা ফাটাতে থাকলেন। এমন সময় তিনি ঘোষণা করলেন পাকিস্তান নাগরিকত্ব ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেবেন।
কিন্তু কোথা থেকে এমন লড়াই করার শক্তি পান মহম্মদ আমির। কী করে নির্বাসন কাটিয়ে আবার বাইশ গজে ফিরলেন তিনি। এমনই সব অজানা কথা থেকে এবার পর্দা তুললেন আমির নিজেই। তিনি জানিয়ে দিলেন, আসলে পরিবার তাঁকে এই শক্তির সঞ্চার করে। তাঁর সন্তান তাঁকে আরও বেশি ভাবতে শিখিয়েছে। তাই পরিবার আর সন্তানদের শিক্ষার জন্য অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিতে চান আমির।
এরমাঝেই ২০১০ সালের লড়াইয়ের সেই দিন গুলোর কথা জানালেন মহম্মদ আমির। কী ভাবে বিয়ের পরে তাঁর জীবন বদলে গিয়েছিল সবটা ক্রিকেট বিশ্বকে জানালেন পাকিস্তানের এই বাঁ হাতি পেস বোলার। আমির জানান, ‘এটা এখন থেকে অনেক দিন আগেকার কথা, কিন্তু এটা বললে ঠিক হবে যে আমি ওই ঘটনার পরে অনেক কিছু শিখেছিলাম। কোনও কোনও সময়ে আপনাকে খারপ সময় অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় যা ভাল সময় পারেনা। সেই সময় আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে অনেক কিছু ভাবতাম, এবং আমি কি আবার ক্রিকেট খেলতে নামব এটা আমার কাছে ফিফটি ফিফটি ছিল। এমি গভীর ভাবে নিজের জীবন নিয়ে চিন্তা করলাম, আমি কী পেয়েছি এবং আমি জীবনের থেকে কী চেয়েছিলাম। বিবাহিত জীবন আমাকে এই জায়গা থেকে বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে, কারণ আমি আরও বেশি পরিবার কেন্দ্রিক হয়েছি। বিশেষ করে যখন আমি বাবা হয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।