সফরে উড়ে যাওয়ার আগেই নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তাঁরা। আশঙ্কা করেছিলেন সফর চলাকালীন খারাপ কিছু ঘটতেই পারে। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনটাই জানান প্রাক্তন সিংহলি অধিনায়ক তথা এমসিসি সভাপতি কুমার সাঙ্গাকারা।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘সেই সময় পাকিস্তানে যাওয়া মোটেও নিরাপদ ছিল না। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা ছিলই। আমরা লিখিতভাবে আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম। আলোচনা করেছিলাম বীমা সংক্রান্ত বিষয়ে, যদি নিতান্ত খারাপ কিছু ঘটে সেকথা ভেবে। তবে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, পাক বোর্ড নিরাপত্তা নিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখেছে। তাই আমাদের পাকিস্তান সফরে যেতে হবে বলে জানানো হয়েছিল।’
পরক্ষণেই সাঙ্গা হামলার দিনের এক চমকপ্রদক ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতো বাসে আমরা একে অপরের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় ব্যস্ত ছিলাম। আলোচনা করছিলাম সন্ধ্যায় কে কী করবে সে বিষয়ে। আমাদের এক বোলার বলে, পিচ নিতান্ত ব্যাটিং সহায়ক। সুতরাং বোলার হিসেবে তাকে হতাশ হতে হবে গোটা সফরে। সে বলে, বেশ একটা বোমা ব্লাস্ট হয়, তাহলে অন্তত বাড়ি ফিরে যাওয়া যাবে। একথা বলার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঠিক সেটাই ঘটে।’
তারপরেই সাঙ্গাকারা বিবরণ দেন সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার। তিনি বলেন, ‘আমাদের ম্যাসিওর বাসের সামনে ছিল। যখন গুলি চলতে শুরু করে আমরা ভেবেছিলাম বাজি ফাটছে। সে তখন চিৎকার করে বলে, ওরা গুলি চালাচ্ছে, শুয়ে পড়ো। আমরা বাসের মেঝেতে একে অপরের গায়ের উপর শুয়ে লুকানোর চেষ্টা করি। চারিদিকে তখন গুলি চলছে। ওরা গ্রেনেড ছুঁড়ছে। রকেটও ছোঁড়া হয়। জানিনা সেদিন আমরা কীভাবে বেঁচে গিয়েছি।’
শেষে সাঙ্গা বলেন, ‘থিলান চোট পায়। আমার কাঁধে চোট লাগে। অজন্তা মেন্ডিসের চোট লাগে। থরঙ্গার বুক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। ও বলে ওর গুলি লেগেছে। আমাদের মধ্যে তখন যন্ত্রণায় কাতরানোর শব্দ। স্টেডিয়ামে ঢোকার পর বুঝতে পারি নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনার পরই আমাদেরকে আড়াল করেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আমাদের জন্য তাঁদের অনেককেই প্রাণ দিতে হয়েছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।