বাংলা নিউজ > ময়দান > ‘আগামীতেও বাংলার হয়ে খেলব না, বলিনি’, শহরে ফিরে অন্য সুর ঋদ্ধির, অভিমান কমল তবে?

‘আগামীতেও বাংলার হয়ে খেলব না, বলিনি’, শহরে ফিরে অন্য সুর ঋদ্ধির, অভিমান কমল তবে?

ঋদ্ধিমান সাহা।

আইপিএলের মাঝেই শোনা গিয়েছিল, ঋদ্ধি নাকি সিএবি কর্তাদের ব্যবহার এবং টিম নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত অপমানিতবোধ করেছেন। তাই তিনি বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলবেন বলে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন।

এখনও ঘোর কাটেনি। গুজরাট টাইটানস আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে লাখও শুভেচ্ছায় ভেসে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফাইনালের রাতে উৎসব। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দিন আবার হুডখোলা বাসে করে শহর পরিক্রমা এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের বাসভবনের অনুষ্ঠান। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই। রাতে ফ্র‌্যাঞ্চাইজির ডিনার। অনুষ্ঠান আর শুভেচ্ছায় ভাসতে ভাসতে বুধবার সকালে কলকাতা ফেরা। আর ফিরেই আরও একটি বোমা ফাটালেন ঋদ্ধি।

শহরে ফিরেই একেবারে পাল্টি খেয়ে ঋদ্ধিমান বলে দিলেন, ‘এ বার খেলছি না বলে, আগামীতে বাংলার হয়ে খেলব না একথা কখনও বলিনি। আমি এখনও বাংলার ক্রিকেটার।’ তবে এই যে ছাড়পত্র চাওয়া নিয়ে এত বিতর্ক, এত জল্পনা? এর উত্তরে ঋদ্ধি বলেন, ‘সে সব কথা তো অনেকে বলছেন, আমার কাছে নাকি তিন–চারটে দলের প্রস্তাবও রয়েছে। আপনার কাছে নতুন কোনও রাজ্যের নাম থাকলে বলবেন।’

আরও পড়ুন: ‘ইডেন নয়, মোতেরা আমার হোম গ্রাউন্ড’, দাবি ঋদ্ধির, জাতীয় দল প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ

আরও পড়ুন:‘CAB-এর আচরণে অপমানিত, তাই বাংলা ছাড়তে চায়’, স্পষ্ট দাবি ঋদ্ধির স্ত্রী-র

ঋদ্ধি বিষয়টি এখন উড়িয়ে দিলেও, তাঁর স্ত্রী রোমি সাহা কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পরের পর যা ঘটেছে, সিএবি যা আচরণ করেছে, তাতে ও অপমানিত। সেই কারণেই বাংলার হয়ে আর খেলতে চায় না।’ যাই হোক অভিমান সম্ভবত কিছুটা কমেছে।

তবে সিএবি কর্তার কথায় যে তিনি বিরক্ত হয়েছেন, তা নিয়ে লুকোছাপা করেননি। সে বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে না চাইলেও, ঘুরিয়ে তিনি বলে দেন, ‘রঞ্জি ট্রফি শুরুর আগেই সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে দেখা করে কিছু বিষয়ে কথা বলে এসেছিলাম। দু’‌জনের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে আনব না। কয়েকদিন পর আবার ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যাব। এবার খেলছি না বলে, আগামীতে বাংলার হয়ে খেলব না একথা কখনও বলিনি। আমি এখনও বাংলার ক্রিকেটার।’

বন্ধ করুন