নির্ধারিত সময়ের ৫২ মিনিট ১০ জনের বিরুদ্ধে খেলল ইস্টবেঙ্গল। তারপরও রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে জিততে কালঘাম ছুটে গেল মারিয়ো রিভেরার ছেলেদের। শেষপর্যন্ত ৯৫ মিনিটে গোল করে শ্রীনগরে লাল-হলুদ মশাল জ্বালালেন ইস্টবেঙ্গলের নয়া বিদেশি ভিক্টর পেরেজ।
এদিন ম্যাচের শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বরং আট মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় কাশ্মীর। রালতের বাঁ-পায়ের হাফভলি শট ব্লক করেন আশির আখতার। এরইমধ্যে ৩৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান দানিশ ভাট। এরপর খেলায় নিজেদের দখল বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ডান প্রান্ত থেকে একের পর এক বিপজ্জনক ক্রস তুলতে থাকেন জুয়ান মেরারা। কিন্তু তা থেকে গোলমুখ খুলতে সক্ষম হননি লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা।
দ্বিতীয়ার্ধের ন'মিনিটে প্রথমবার তেকাঠিতে বল রাখে ইস্টবেঙ্গল। কোলাডোর ফ্রি-কিক বাঁচিয়ে দেন কাশ্মীরের গোলকিপার ফূর্বা লাচেনপা। ৬৬ মিনিটে ডান পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বিদ্যাসাগর সিংয়ের শট। দশজন হয়ে গেলেও হাল ছাড়েনি কাশ্মীর। গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। ৮৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পান চেস্টারপল লিংডো। কিন্তু তাঁর শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লালরানদিকা রালতের শটও কাশ্মীরের গোলকিপার সহজেই তালুবন্দী করেন।

নির্ধারিত সময়েও খেলার ফল গোলশূন্য থাকার পর মনে হচ্ছিল, শ্রীনগর থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তা অবশ্য হয়নি। বরং পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। লাভডে এনিন্নায়ানার চ্যালেঞ্জে বক্সের মধ্যে পড়ে যান কোলাডো। সহকারীর সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনার পর পেনাল্টি দেন রেফারি। লাচেনপাকে উলটোদিকে পাঠিয়ে শ্রীনগর থেকে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন পেরেজ।
এদিনের জয়ের ফলে লিগ টেবিলে যেমন নিজেরা দু’নম্বরে উঠে এল,তেমনই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের লিগ জয়ের রাস্তা আরও প্রশস্ত করল লাল-হলুদ। আপাতত ১৬ ম্যাচে কোলাডোদের পয়েন্ট ২৩। অন্যদিকে, ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চারে রইল কাশ্মীর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।