ইস্টবেঙ্গলকে দেখেও শিক্ষা নিল না মোহনবাগান

মোহনবাগান অনুশীলনে বেইতিয়ার, মার্টিনেজরা (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)

রবিবার কল্যাণীতে আয়োজিত হতে চলেছে এবারের আইলিগের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ম্যাচ। যেখানে মোহনবাগান মুখোমুখি হতে চলেছে শক্তিশালী চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। দুই দলের কাছে এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা মাথায় রেখে কলকাতায় দু’দিন অনুশীলন করে টিম চার্চিল একদিন আগে শনিবারই কল্যাণীতে যাচ্ছে, যাতে ফুটবলাররা ম্যাচের আগে একটু বিশ্রাম পান। একই সঙ্গে সফরকালীন টিমকে যাতে গাড়ি, ট্রেন কিংবা বিমান ভোগান্তির শিকার হতে না হয়।

চলতি আইলিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চার্চিল হারিয়েছে মিনার্ভাকে। স্বাভাবিকভাবে মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর উইলিস প্লাজারা। সেখানে মোহনবাগান নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইজল এফসির সঙ্গে ড্র করে খানিকটা হলেও চাপে রয়েছে।

পয়েন্ট টেবিলে এগোনোর পাশাপাশি শিবিরে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে রবিবার চার্চিলের বিরুদ্ধে যেভাবেই হোক জয়ের সরণীতে ফিরতে হবে মোহনবাগানকে। কিন্তু তাদের সেই তাগিদ কোথায়? পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চার্চিল যেখানে শনিবারই কল্যাণীতে যাচ্ছে, সেখানে কোচ কিবু ভিকুনার শিষ্যরা যাচ্ছেন ম্যাচের দিনই।

ময়দান ফুটবলের দিন বদলেছে। বিশেষ করে তিন প্রধানের। টাকার অভাব তাদের তেমন নেই। ইস্টবেঙ্গলে আবার টাকার থলি নিয়ে এসেছে ইনভেস্টর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়দানের একাধিক অভিজ্ঞ ফুটবলারের মতে, এরা চাইলে তো আর্থিক অনটনে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ক্লাবগুলি থেকে শিক্ষা নিতে পারত। ওরা সবার আগে দলের ফুটবলারদের স্বার্থ দেখে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ চার্চিল।

ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে চলেছে মোহনবাগানও। রিয়াল কাশ্মীরের মতোই চার্চিলও ম্যাচের আগের দিন এবং ম্যাচের দিন বিশ্রামের উপর জোর দিচ্ছে। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের মতো খরচ বাঁচাতেই মোহনবাগানও কল্যাণী যাবে রবিবার সকালে। যদিও মোহনবাগানের দাবি, তিন সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে গিয়ে ঘুরে এসেছিল। এখন দেখার, এঁদের জোড়া-তাপ্পি দেওয়া পরিকল্পনা নিয়ে ময়দানের দুই সেরা ক্লাব লিগে কতটা এগিয়ে যায়।