ছোট থেকে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। আর এতেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন টোকিও প্যারালিম্পিক্সে সোনাজয়ী প্রমোদ ভগৎ। ব্যাডমিন্টনের মেনস সিঙ্গলসে (এসএল-৩) চ্যাম্পিয়ন হন ভারতীয় শাটলার।
সচিনের সঙ্গে দেখার করার পর টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন প্রমোদ। সেখানে তাঁর আর সচিনের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হল! আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, আমি এতটা খুশি। যখন ছোট ছোট ছিলাম তখন স্যারের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। যে কথাগুলো আপনি (সচিন) বললেন, সেটা সারা জীবন মনে রাখব এবং আমাকে সারা জীবন অনুপ্রাণিত করবে। আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আজ রাতে আমার ঘুম হবে না।’
৪ বছর বয়সে পোলিও-তে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রমোদ। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবং তাঁর ক্যারিয়ারে সচিন তেন্ডুলকরের নাকি বড় ভূমিকা রয়েছে। চাপের মাঝেও শান্ত থাকতে নাকি তিনি লিটল মাস্টারের থেকেই শিখেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রমোদ বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলতাম। ওই সময়ে আমি দূরদর্শনে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতাম। আমি সব সময়ে সচিনের শান্ত আচরণে মুগ্ধ হতাম। এবং তিনি যে ভাবে মাথা ঠাণ্ডা রাখতেন, সেটা দেখে আমি অবাক হতাম।’
এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘তাই ওকে আমি অনুসরণ করতে শুরু করেছিলাম। ওর ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আমাকে প্রভাবিত করেছিল। তাই আমি যখন খেলতে শুরু করলাম, তখন সচিনকেই অনুসরণ করতাম এবং এটা আমাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সহ অনেক ম্যাচে সাফল্য পেতে সাহায্য করেছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যখন আমি ফাইনালের দ্বিতীয় গেমে ৪-১২ পিছিয়ে পড়েছিলাম, তখনও আমি লড়াই ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। স্নায়ু ধরে রেখে, মাথা ঠাণ্ডা করে লড়াইয়ে ফিরেছিলাম এবং ম্যাচটা জিতেও যাই।’
প্রসঙ্গত, টোকিও প্যারালিম্পিক্সে গোল্ড মেডেল ম্যাচে প্রমোদ স্ট্রেট গেমে পরাজিত করেন ব্রিটিনের ড্যানিয়েল বেথেলকে। ম্যাচের ফল ২১-১৪, ২১-১৭। দ্বিতীয় গেমের শুরুতেই ৪-১২ পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত সোনা জয়ের হাসি হাসেন ভারতীয় শাটলারই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।