অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাস্কার ২০২০-২১ ট্রফির কথা বোধহয় ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের ভোলার নয়। ভারতের প্রতিটি ভক্তের মনে রাখার মতো মুহূর্ত ছিল। বিশেষ করে অ্যাডিলেডে ভারতের পরাজয়ের পর। অ্যাডিলেডে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। দলটি টেস্ট সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে সর্বকালের সর্বনিম্ন স্কোর নথিভুক্ত করেছিল। তার উপর আবার একের পর এক চোট ভারতের সব আশা যেন নস্যাৎ করে দেয়। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ২-১-এ জিততে সক্ষম হয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্টে গাব্বাতে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ভারত ইতিহাস রচনা করে। এ ছাড়াও মেলবোর্নে ৮ জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। তবে সিডনি টেস্ট ড্র হয়েছিল।
অশ্বিন, যিনি তৃতীয় টেস্টে হনুমা বিহারির সঙ্গে জুটি বেধে মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে হার বাঁচিয়ে ড্রয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। অশ্বিন ১২৮ বল খেলে ৩৯ করেছিলেন। আর ১৬৩ বল খেলে ২৩ করেছিলেন হনুমা বিহারী।
আর এই টানটান উত্তেজনার টেস্টের আগে ভারতকে এক ভয়ঙ্কর বিমান অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মেলবোর্ন থেকে সিডনিতে আসার সময়ে ‘ভীতিকর’ বিমান অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন: ফের লাগল অশ্বিন-শাস্ত্রীর, গাব্বাতে প্রাক্তন কোচের নেগেটিভ বার্তা ফাঁস করলেন রবি
ডকুমেন্টারি 'বন্ধন মে থা দম'-এর ট্রেলার লঞ্চে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমরা সিডনি যাচ্ছিলাম এবং ফ্লাইটটি একটি বজ্রঝড়ের সম্মুখীন হয়েছিল। এটা এতটাই ভীতিকর ছিল যে এক মুহুর্তের জন্য ভেবেছিলাম, ফ্লাইটটি কখনও-ই অবতরণ করবে না।’
অশ্বিন সেই সময়েই সিডনিতে নেমেই ফ্লাইটের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ইয়োরস টার্বুলেন্টলি, মেলবোর্ন থেকে সিডনি! #ouch #scary’
তবে সিডনি টেস্ট নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘মাঠে নেমেই আমরা দু'জনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের কী সমস্যা ছিল, ও সামনে আসতে পারছে না এবং ব্যাকফুটে যেতে পারবে না। ও ওর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি সঙ্গে লড়াই করছিল। যখন আমি ক্রিজে এলাম, তখন ফাস্টবোলারদের বিপক্ষে আমি যেতে পারিনি। সেই পরিস্থিতিতে, আমি বলেছিলাম আমরা ম্যাচটা ঘোরাব এবং দেখব কী ভাবে এটি কাজ করে।’
পিঠের চোটের কারণে চতুর্থ তথা শেষ টেস্টে অশ্বিন খেলতে পারেননি। ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রহকারী হন। অশ্বিন ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে কী ভাবে তৃতীয় টেস্ট খেলেছিলেন, সে কথাও শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক ছিল, চোটে কাবু আমি পেইনকিলারের সাহায্য নিয়ে বোলিং করতে গিয়েছিলাম। এবং ট্রটকেই ১৩ বা ১৪ ওভার বল করেছি। ব্যথার কারণে আমি মেঝেতে গড়াগড়ি দিচ্ছিলাম। আমার স্ত্রী এবং বাচ্চারা আমাকে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল এবং তার পর ফিজিও আমাকে চেক করতে এসেছিল। আমি হামাগুড়ি দিয়ে খেলায় গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার সেরাটা দিয়েছিলাম।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।