বাংলা নিউজ > ময়দান > আমি কাঁদছিলাম, তখন আমার ভারতের ভিসা ছিল না- স্ত্রীর মৃত্যুর করুণ গল্প বললেন আক্রম

আমি কাঁদছিলাম, তখন আমার ভারতের ভিসা ছিল না- স্ত্রীর মৃত্যুর করুণ গল্প বললেন আক্রম

স্ত্রী হুমার মৃত্যুর করুণ গল্প বললেন ওয়াসিম আক্রম (ছবি-AFP)

২০০৯ হার্ট ও কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হুমা। আক্রমের স্ত্রী ৪২ বছর বয়সে চেন্নাইতে মারা যান। আক্রম তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় আবেগঘন মুহূর্তের কথা স্মরণ করেছেন। মাঝপথে চেন্নাইয়ে অবতরণ করেছিল বিমানটি। তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়এবং আক্রমের ভারতের ভিসা ছিল না।

পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রম সম্প্রতি তাঁর প্রথম স্ত্রী হুমার অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে একটি আবেগময় গল্প শেয়ার করেছেন। ২০০৯ সালে হার্ট ও কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হুমা। আক্রমের স্ত্রী ৪২ বছর বয়সে চেন্নাইতে মারা যান। আক্রম তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় আবেগঘন মুহূর্তের কথা স্মরণ করেছেন। মাঝপথে চেন্নাইয়ে অবতরণ করেছিল বিমানটি। তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং আক্রমের ভারতের ভিসা ছিল না।

আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ক্রিজে পৌঁছালেও ব্যাট ও পা মাটিতে নেই! অসতর্কতার নজির গড়লেন ব্রেসওয়েল

তাঁর আত্মজীবনী সুলতান: আ মেমোয়ার নিয়ে আলোচনা চলাকালীন, পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম স্পোর্টসস্টারের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছিলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিলাম। আমরা রিফুয়েলিং এর জন্য চেন্নাইয়ে থামলাম। বিমানটি চেন্নাইয়ে অবতরণ করলে হুমা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আমি কাঁদছিলাম এবং বিমানবন্দরে লোকেরা আমাকে চিনতে পেরেছিল। আমাদের ভারতের ভিসা ছিল না। আমাদের দুজনেরই পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিল। চেন্নাই বিমানবন্দরের লোকজন, নিরাপত্তা বাহিনী, কাস্টম এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আমাকে ভিসা নিয়ে চিন্তা করবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁরা আমাকে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন, ততক্ষণ তাঁরা ভিসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এটি এমন একটি বিষয় যা আমি একজন ক্রিকেটার এবং একজন মানুষ হিসাবে কখনই ভুলব না।’

উল্লেখ্য, ওয়াসিম আক্রম এবং হুমা মুফতি ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। হুমা পেশায় একজন মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। বলা হয়, হুমা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের মনস্তাত্ত্বিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এখানেই দুজনের দেখা হয়েছিল। ওয়াসিম একবার একটি সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছিলেন যে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে তাঁর অধিনায়কত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এই সময় হুমা তাঁর পক্ষে শক্ত সমর্থন হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। হুমা ও ওয়াসিমের দুই ছেলে।

আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: উপস্থিত রোহিত থেকে শ্রেয়স, নাচে-গানে জমে গেল শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গীত অনুষ্ঠান

ওয়াসিম আক্রম ও হুমার জীবন ভালোই চলছিল, কিন্তু ২০০৯ সালে হঠাৎ করেই হুমার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। তাঁকে অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। হুমার জ্বর সেরে ওঠার নামই নিচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওয়াসিম আক্রম। তবে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছাতে পারেননি এবং ভারতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হুমা। ওয়াসিম আক্রম স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন।

'সুইংয়ের সুলতান' নামে পরিচিত আক্রম পাকিস্তানের হয়ে ১০৪টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৩৫৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার টেস্ট ক্রিকেটে ৪১৪টি উইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে আক্রম ৫০২টি উইকেট নিয়েছেন। আক্রম ১৯৮৪ সালে ইকবাল স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। আক্রম পাকিস্তানের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০০৩ সালে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন