বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে সরব হওয়ার পরেই, তাঁর খেলায় অবনতির কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। এই প্রসঙ্গে তিনি অদ্ভূত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শোয়েব মনে করেন, কোহলির অবনতির পিছনে দায়ি অনুষ্কা শর্মাকে বিয়ে করাটাই। আর কোহলির বিয়ের প্রভাবই খারাপ ভাবে পড়েছে তাঁর খেলায়। যদি শোয়েব নিজে কোহলির জায়গায় থাকতেন, তবে তিনি নাকি বিয়েটাই করতেন না।
প্রসঙ্গত কোহলি ২০১৭ সালে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুষ্কার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তার অনেক আগে থেকেই একে অপরের সঙ্গে ডেট করছিলেন।
তবে শোয়েব আখতার চেয়েছিলেন, কোহলি ওর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করুক। বিয়েটা ওর তাড়াতাড়ি করা উচিত হয়নি বলেই দাবি রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের। কোহলি ঠিক করে রান পাচ্ছেন না, বা তাঁর ধারাবাহিকতার অভাবের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি ওর জায়গায় থাকলে বিয়েও করতাম না। আমি শুধু রান করতাম এবং ক্রিকেটটা উপভোগ করতাম। এই ১০-১২ বছরের ক্রিকেট খেলাটা একটা আলাদা সময়। এটা আর ফেরৎ আসে না। আমি বলছি না বিয়ে করা ভুল। কিন্তু ও ভারতের হয়ে ভালো খেলছিল, সেটা আরও একটু উপভোগ করতে পারত। ভক্তরা কোহলির জন্য পাগল এবং গত ২০ বছর ধরে ও যে ভালোবাসা পাচ্ছে, সেটা এখনও ওকে বজায় রাখতে হবে।’
শোয়েব আরও যোগ করেছেন, ‘ক্রিকেটারদের ১৪-১৫ বছরের ছোট কেরিয়ার থাকে। যেখানে পাঁচ-ছয় বছর শীর্ষে থাকে কোনও ক্রিকেটার। বিরাট সেই বছরগুলো কাটিয়ে এসেছে। এখন ওকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’
এ দিকে ভারতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেট থেকে কোহলির পদত্যাগের পর কোহলির পাশে দাঁড়িয়ে সরবই হয়েছেন শোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, বিভিন্ন লবির কারণে কোহলি নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
শোয়েব দাবি করেছেন, ‘আমার তো মনে হয়, কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর বিষয়টা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় থেকেই। হয়তো এমনিতেই দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে জেতাতে না পারলে বিরাটের নেতৃত্ব যেতই। ওঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো লবি কাজ করছে। সম্ভবত সেটা বুঝেই বাধ্য হয়ে ও সরে গিয়েছে। বলা যায় ওকে নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য করাই হয়েছিল।’
এর পাশাপাশি আবার শোয়েবের বক্তব্য, ‘বিরাট ৬-৭ বছর ধরে অধিনায়কত্ব করেছেন। তবে আমি কখনই ওর অধিনায়কত্বের পক্ষে ছিলাম না। আমি শুধু চেয়েছিলাম ও ১০০, ১২০ রান করতে থাকুক এবং ওর ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিক।’