‘দ্বিজাতি তত্ত্বে আমরা বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্যেই শোয়েব আখতারের সেই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। একাংশের বক্তব্য, পাকিস্তানের মানুষের মনে কীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের বিষয়টি গেঁথে আছে, তা শোয়েবের মন্তব্য থেকে একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে আজতকের একটি শোয়ে হাজির ছিলেন হরভজন সিং এবং শোয়েব। সেই শোয়ের মধ্যে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার বলেন, ‘আমার এক। যদি দেখা যায়, আমরা ভারত-পাকিস্তানকে এক হিসেবে দেখি। তাহলে আমাদের মধ্যে কেন এত ঘৃণা আছে? আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার কারণে নাকি রাগানোর জন্য একে অপরের উদ্দেশে মন্তব্য করে থাকি বলে? এটার কারণ কী?’ যদিও ভাজ্জির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার বলেন, ‘বেশি গভীরে যাব না পাজি। দ্বিজাতি তত্ত্বের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। দ্বিজাতি তত্ত্বে আমরা বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি।’
শোয়েবের সেই মন্তব্যে নতুন করে দ্বিজাতি তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, 'একাধিক সংস্কৃতির সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও আজতকে শোয়েব আখতারের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে পাকিস্তানিদের মনে দ্বিজাতি তত্ত্ব গেঁথে আছে এবং জীবন সবদিকেই দ্বিজাতি তত্ত্ব নিয়ে দৃঢ় বিশ্বাস আছে।'
এমনিতে দ্বিজাতি তত্ত্বের আসল প্রবক্তা কে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। যে তত্ত্ব অনুযায়ী, ধর্মের ভিত্তিতে দুই দেশের ভাগ করা উচিত। একাংশের দাবি, ‘দ্বিজাতি’ তত্ত্বের প্রচার শুরু করেছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। আবার অনেকের দাবি, আদতে মুসলিম লিগের তরফে সেই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের দাবি তোলা হয়েছিল। কারও কারও দাবি, দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রকৃত প্রবক্তা ছিল ব্রিটিশরা। সেই তত্ত্বের জেরেই দেশভাগ হয়েছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।